নীলফামারী: দীর্ঘ পাঁচ মাসেও মেরামত হয়নি চিলাহাটি-খুলনা রুটে চলাচলকারী রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেলকোচ।
গত ১৪ মে ট্রেন দুটির চারটি এসি কোচ খুলে রেখে তা দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য পাঠানো হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, অতীতে সৈয়দপুর থেকে খুলনা রুটে চলাচল করে আসছিল রূপসা ও সীমান্ত ট্রেন দুটি। দীর্ঘ রুটের ট্রেন দুটি ব্যবসা সফল। প্রতিটি ট্রেনে ছিল ৩০২টি এসি আসন। এতে করে সরকারের মোটা রাজস্ব আয় হতো। যারা মোটামুটি স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে চান তার বেশ সুবিধা পেতেন ট্রেন দুটিতে ভ্রমণ করে। পরে ট্রেন দুটি গন্তব্য পরিবর্তন করে উত্তরের জনপদ চিলাহাটি থেকে চলাচল শুরু করে। কিন্তু ট্রেনের কোনো উন্নতি সাধন করা হয়নি। যদিও ওই দুটি ট্রেনে সৈয়দপুরের বেশি যাত্রী চলাচল করে থাকেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম জানান, পাঁচ মাসেও রূপসা ও সীমান্ত ট্রেন দুটিতে এসি কোচ সংযোজন করা হয়নি। ফলে রেলওয়ে প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা (ডিইই) রিফাত শাকিল জানান, রূপসা ও সীমান্ত ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলোতে ক্রটি দেখা দেওয়ায় গত ১৪ মে তা খুলে রাখা হয়। পরে এসব মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হয়। দ্রুত এসব কোচ ট্রেন বহরে যুক্ত করতে পারব বলে আশা করছি।
এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোচগুলো মেরামত হয়ে গেছে। তবে এসবের শীতাতপ ব্যবস্থা সচল করা সম্ভব হয়নি। এটি রেলওয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের কাজ। আমরা যান্ত্রিক বিষয়টি দেখি।
মেরামতের দীর্ঘ সূত্রিতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত রেলকোচগুলো রেলপথে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
এসআই