ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রক্সির সাহায্যে রিটেনে পাস, ভাইভায় ধরা খেলেন ৭ প্রার্থী!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
প্রক্সির সাহায্যে রিটেনে পাস,
ভাইভায় ধরা খেলেন ৭ প্রার্থী!

সিরাজগঞ্জ: অন্যদের দিয়ে প্রক্সি দিইয়ে রিটেনে (লিখিত পরীক্ষা) পাস করলেও শেষ রক্ষা হয়নি, ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) দিতে এসে ধরা খেয়েছেন সাত চাকরি প্রার্থী।  

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।

 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাত প্রার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জেলা প্রশাসনের নিয়োগ কমিটি। এ ঘটনায় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য সচিব শিমুল আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের  করেন।  

আটক প্রার্থীরা হলেন-সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন, তাড়াশ উপজেলার বিষমডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন, কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম সুজন, শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামের, এলাহী প্রামাণিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া উপজেলার বাখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মজিবর রহমান, কামারখন্দ উপজেলার চর-দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লা বেলালী ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়ালজানী পূর্বপাড়া গ্রামের হেনা মণ্ডলের ছেলে এনামুল হক।  

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে মামলার বাদী শিমুল আক্তার জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে সিরাজগঞ্জের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ২০তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মো. মোবারক হোসেনের উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষার সময় ওই প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখায় গরমিল পাওয়া যায়। এসময় তাদের বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে অন্যদের দিয়ে প্রক্সি দিইয়ে তারা লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত সদস্যদের সামনে তারা লিখিত স্বীকারোক্তি দেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।  

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের নামে মামলা করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।