সিলেট: একের পর এক মামলার আসামি হচ্ছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া। তার নামে নতুন করে আরও দু’টি মামলা হয়েছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তার নামে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-১ম আদালতে আরও দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পৃথক দায়ের করা মামলায় সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার নাম করে ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ২য় ও তার পিএস পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য দবির মিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ দুই মামলাসহ মোট ১১ মামলায় অভিযুক্ত হলেন তারা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ ও অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াসমিন মামলা দুটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব দেন।
উভয় মামলার বাদীরা হলেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাধবপুর (খোজার পাড়া) গ্রামের মৃত হাজী মফিজ আলীর ছেলে লিলু মিয়া (৫২)। আদালতে তার দায়ের করা মামলা বিশ্বনাথ সিআর নং ৩৬৪/২০২৩। অপর মামলার বাদী উপজেলার খোজারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে নুর হোসেন (৫০)। আদালতে তার দায়ের করা বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৩৬৫/২০২৩।
মামলার এজাহারে বাদী লিলু মিয়া অভিযোগ করেছেন, তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তার সন্তানরাও প্রতিবন্ধী। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ‘গভীর নলকূপসহ ওয়াশ ব্লক’ পাওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। এরপর চেয়ারম্যানের কথা মতে ১ জানুয়ারি তার পিএস দবির মিয়ার কাছে ২০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাসেও বরাদ্দ কিংবা টাকা ফেরত না পাওয়ায় সম্প্রতি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চেয়ারম্যান ও তার পিএস টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
একই অভিযোগ মামলার অপর বাদী নুর হোসেনেরও। একই বরাদ্দের জন্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবন্ধী ভাতিজা মুস্তাকিনের জন্য ওয়াশ ব্লক পেতে ২০ হাজার টাকা দবির মিয়ার কাছে জমা দেন। একই তারিখে একই সময়ে গ্রামের আরেক অসহায় নারী শায়রা বেগমকে ওয়াশ ব্লক পাইয়ে দিতে দবির মিয়ার কাছে আরও ২০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু সম্প্রতি যোগাযোগ করা হলে টাকা নেওয়া বিষয়টি অভিযুক্তরা অস্বীকার করেন। ফলে ন্যায় বিচার পেতে তারা আদালতে মামলা দায়ের করেন।
যদিও উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, একটি পক্ষ তাকে ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এরাই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।
সম্প্রতি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দুর্নীতিসহ আধিপত্য বিস্তার বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন। এ নিয়ে শুরু হয় ভার্চ্যুয়াল লড়াইও। একে অপরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। এ ঘটনার পর থেকে ধারাবাহিক মামলার আসামি হচ্ছেন নুনু মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
এনইউ/আরআইএস