ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জেএমবি নেতা সালেহীনের সহযোগী গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
জেএমবি নেতা সালেহীনের সহযোগী গ্রেপ্তার

ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির বর্তমান আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের একসময়ের একান্ত সহযোগীসহ জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নুরুল ইসলাম (৪০) ও মো. রাসেল (৩৭)।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক দুটি অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এটিইউ’র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) ওয়াহিদা পারভীন জানান, গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন দারুল আকরাম একাডেমির পাশ্ববর্তী এলাকায় পরিচালিত এক অভিযানে জেএমবির ওয়ারেন্টভুক্ত সক্রিয় সদস্য ও জেএমবি’র বর্তমান আমীর সালাউদ্দিন সালেহীনের একসময়ের একান্ত সহযোগী নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সে তার বাবা ও ভাইসহ জেএমবির সূচনালগ্ন থেকে সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ ২ যুগ সময় ধরে নুরুল ইসলাম জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে কাজ করে আসছিল।

২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ব্র্যাকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জেএমবির শুরা সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীনকে গ্রেপ্তারের করা হলে ওই ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয়ার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর পুলিশ নূরুল ইসলামসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

নুরুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোয়েন্দা তৎপরতার ধারাবাহিকতায় অবশেষে তাকে টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে এটিইউ।

এদিকে, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ স্টিল মিল এলাকায় পরিচালিত অপর এক অভিযানে জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল লালমনিরহাট জেলার অন্যতম দায়িত্বশীল হিসেবে ২০০০ থেকে জেএমবি’র কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।

২০০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর নীলফামারীর ডিমলা থানাধীন দক্ষিণ খড়িবাড়ি এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলাকালে জেএমবি সদস্য গোলজার হোসেনকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় রাসেলসহ অন্যান্য সহযোগীরা কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচারকার্য শেষে আদালত রাসেলসহ ৪ জনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রাসেল দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এটিইউ’র এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
পিএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।