বরিশাল: জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকা থেকে একইদিনে তিন স্কুল ছাত্রীসহ চারজন কিশোরী নিখোঁজের একদিনের মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া এক স্কুলছাত্রীর বাবা বাদশা হাওলাদার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলার প্রধান অভিযুক্ত উপজেলার বাঘার গ্রামের নগেন দেওয়ানের ছেলে বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজের ছাত্র হৃদয় দেওয়ান (১৯) ও তার সহযোগী জয়শুরকাঠী গ্রামের সুশান্ত মণ্ডলের ছেলে তুর্য মন্ডলকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে একই দিনে ৪ কিশোরীর নিখোঁজ হওয়া ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, নিখোঁজ কিশোরীরা তাদের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার একটি জুয়েলারি দোকানে ২৯ হাজার টাকায় বিক্রি করে কুয়াকাটায় ঘুরতে গিয়েছিলো।
এদিকে মামলার বাদী এক নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা বাদশা হাওলাদারের এজাহারের সঙ্গে নিখোঁজের ঘটনার রাতে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যের কোনো মিল নেই।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার মেয়েকে প্রকাশ্যে হৃদয় দেওয়ান ও তুর্য মণ্ডলসহ তাদের ২/৩ জন সহযোগীরা অপহরণ করে মাহেন্দ্রাযোগে নিয়ে যায়।
যদিও থানা পুলিশ বলছে, অপর তিন কিশোরী স্বেচ্ছায় ঘুরতে গিয়েছিল। আর এমন জবানবন্দি দেওয়ার পর স্ব-স্ব অভিভাবকদের কাছে ছাত্রীদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আফজাল হোসেন বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে চার কিশোরী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। ওইদিন রাতে এক কিশোরীর পালিত বাবা ও মাকে অপর নিখোঁজ ছাত্রীদের অভিভাবকরা পাচারকারী সন্দেহে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শহর থেকে নিখোঁজ ছাত্রীদের উদ্ধারসহ হৃদয় দেওয়ান ও তুর্য মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ