ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবাসীর টাকায় তৈরি হচ্ছে সড়ক, ভোগান্তি কমবে ৫শ পরিবারের 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
প্রবাসীর টাকায় তৈরি হচ্ছে সড়ক, ভোগান্তি কমবে ৫শ পরিবারের 

নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদরের পাশেই সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রাম। গ্রামের উত্তর পাড়ার একটি কাঁচা সড়ক চলাচলের অনুপযোগী প্রায় ৩০ বছর ধরে।

বর্ষা এলে এ সড়কে যেন ভোগান্তির শেষ থাকে না।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হাড়িডাঙ্গা মাদরাসা থেকে লস্কারপাড়া পর্যন্ত  ৫শ মিটার সড়ক নির্মাণের। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন দফতরে বার বার ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।

এলাকায় জনপ্রতিনিধি, এমপি সবার কাছে ধরণা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কেউই এই সড়কের বাসিন্দাদের ভোগান্তি কমাতে এগিয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন তারা।

প্রতিবেশীর কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে এসেছেন হাড়িডাঙ্গা গ্রামের নাসির লস্করের ছেলে লিবিয়া  প্রবাসী যুবক রানা লস্কর (৩২)। নিজের অর্থে উদ্যোগ নেন কাদামাটির সড়কটি  উন্নয়নের। সড়কের প্রায় ৫শ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রশস্ত কাদামাটির সড়কে ইটের সলিং এবং তারপর ঢালাই এর জন্য কাজ করা হচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সড়ক নির্মাণের কাজ। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা আশা করছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটি নির্মাণ শেষ হবে।

গত পাঁচ বছর ধরে ওই গ্রামের বাসিন্দা জামান হোসেন বর্ষা মৌসুমে জন প্রতি ব্যক্তিগতভাবে কিছু টাকার ব্যবস্থা করে বালু ভরাট করে দিতেন। এবার কাঁচা সড়কটি অবশেষে চলাচলের উপযোগী হওয়ার আশায় দিন গুণছেন এলাকাবাসী।  

ওই এলাকার বাসিন্দা বাবু থান্ডার, জাকির মোল্যা, রনি থান্ডারসহ অনেকেই জানান, বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে তাদের খুবই কষ্ট হতো। ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় যেতে অসুবিধা হতো। সবার কষ্টের কথা চিন্তা করে এলাকার কৃতি সন্তান রানা লস্কার সড়কটি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এতে তারা খুবই খুশি।

সালামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্যা মাহাবুর রহমান মাহী বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ আসে না। তবে সড়কটি এলজিইডিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এটি নির্মাণ করা হবে। তবে প্রবাসী রানা এলাকার স্বার্থে নিজের টাকায় সড়কের কিছু অংশ নির্মাণ করায় তাকে সাধুবাদ জানাই।

কালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম মিয়াজী বাংলানিউজকে বলেন, ব্যক্তির অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের তথ্য আমার কাছে নেই। এমনকি ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে কোনো আবেদনও আসেনি। তিনি সরকারি সহযোগিতা নিতে পারতেন। তারপরও তিনি এলাকাবাসীর কথা ভেবেছেন- এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।