ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুগদা হাসপাতালে শিশু চুরি, ওয়ার্ডের আশপাশে নেই সিসি ক্যামেরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
মুগদা হাসপাতালে শিশু চুরি, ওয়ার্ডের আশপাশে নেই সিসি ক্যামেরা ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৯ দিন বয়সের রিফাত নামে এক শিশু চুরির ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাইনি ওয়ার্ডের আশপাশে কোনো সিসি ক্যামেরা অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। বিশেষ করে গাইনি ওয়ার্ড থেকে বের হওয়ার ও ভেতরে প্রবেশের স্থানগুলোতেও কোনো সিসি ক্যামেরার অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, হাসপাতাল জুড়ে আনুমানিক ১৭৫টি সিসি ক্যামেরা থাকলেও অধিকাংশই নষ্ট। এছাড়া হাসপাতালে মোট ৮০ জন আনসার পালাক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে দিকে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে এসব কথা জানান।

তিনি জানান, শিশু চুরির সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে গিয়ে শনাক্তের জন্য প্রথমেই সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হয়। যে গাইনি ওয়ার্ড থেকে শিশু চুরির অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই ওয়ার্ডের প্রবেশের পথ ও বের হওয়ার পথের স্থানগুলোতে কোথাও সিসি ক্যামেরার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া হাসপাতাল জুড়ে ১৭৫টি সিসি ক্যামেরা আছে। সেগুলোর অধিকাংশই নষ্ট দেখা গেছে।

তিনি আরও জানান, সবুজবাগ মাদারটেক উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা দম্পতি কাউসার ও বন্যার প্রথম সন্তান রিফাত। তারা দরিদ্র পরিবার।

পুলিশকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা আমাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, স্যার যেভাবে হোক আমার সন্তানকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। যেভাবেই হোক সন্তানকে উদ্ধার করে মায়ের বুকে দিন। এসব কথা বলে বিলাপ করে কেঁদেই যাচ্ছেন বন্যা। শিশু চুরির ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, চুরির ঘটনার সময় ওয়ার্ডের দায়িত্বরত আনসার সদস্য, আয়াসহ বেশ কয়েকজনকে থানা এনে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, পুরো হাসপাতালে নিরাপত্তার জন্য আনসাররা ডিউটি করে থাকেন। এছাড়া হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে তাদের দায়িত্ব থাকে। এত দায়িত্বের মধ্যেও ওয়ার্ডের ভেতর থেকে শিশু কিভাবে চুরি হয়।

এদিকে শিশু চুরির ঘটনায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামানকে মোবাইলে চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি কেটে, এসএমএস পাঠান। সেখানে উল্লেখ আছে, তিনি জুম মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। এরপরে একাধিকবার মোবাইলে চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: মুগদা হাসপাতালে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশু চুরি

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।