ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে সাভারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৩
টানা বৃষ্টিতে সাভারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত  সাভারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

সাভার (ঢাকা): টানা ২২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে সাভার ও আশুলিয়া শিল্প এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক, বসতবাড়ি, মার্কেট ও আড়ৎ প্লাবিত হয়েছে। এতে ওইসব এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

 

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে এ অঞ্চলের বাইপাইল এলাকায় কাপড়ের মার্কেট, মাছের আড়ৎ ও কয়েকটি বহুতল ভবনের নিচতলায় পানি উঠতে দেখা গেছে।

এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি দেখা গেছে। যানবাহন চলাচলের সময় যন্ত্রাংশে পানি প্রবেশ করে বিকল হয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। নোংরা পানি ছড়িয়ে গেছে সব জায়গায়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ডের মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রের সামনে পানি জমে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সড়কের পাশে থাকা ড্রেন উপচে ময়লা পানি বের হচ্ছে।

অন্যদিকে এ অঞ্চলের পলাশবাড়ী, বাইপাইল, জামগড়া, চিত্রশাইল, ভাদাইল, কাইচাবাড়িসহ কয়েকটি এলাকায় বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। বাইরে বৃষ্টি ও ঘরে পানিতে নাজেহাল অবস্থায় পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।  

বাইপাইল করিম সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে বৃষ্টি। একটুও বিরতি নেই। আমার জিনিসপত্র সব নিচে রাখতে হয়। আজ সকালে এসে দেখি সব কিছু পানিতে ডুবে গেছে এক হাঁটু পরিমাণ পানি হয়েছে।  

মাছ ব্যবসায়ী রবিন চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, কি আর বলবো। রাত থেকে জেগে আছি। পানি আমাদের আড়তে প্রবেশ করতেছে আমরা দেখতেছি। কিন্তু কিছু করার নেই কারণে আশপাশের সব জায়গায় পানি উঠেছে।  

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক ঢাকায় প্রবেশ মুখের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। গতকাল দুপুর থেকে বৃষ্টিতে বাইপাইল ত্রীমোড় থেকে জামগড়া-নরশিংহপুর এলাকা পর্যন্ত সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি।  

সড়কে চলাচলরত প্রাইভেটকার চালক কাউসার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আজ সকালে ঢাকা থেকে জামগড়ার বাসায় যাবো এর জন্য এসেছি। এখানে এসে দেখি বাইপাইলেই পানি এক হাঁটু। গাড়ির ভেতরে প্রায় পানি প্রবেশ করে। শুনেছি রাস্তায় নাকি বিভিন্ন জায়গায় কোমড় পানি।  

পলাশবাড়ীর বট তলা এলাকার বাড়ির মালিক রবিউল আওয়াল বলেন, এ কেমন বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের ঘর বাড়ি একদম তলিয়ে ফেললো। পানি বের হওয়ার জায়গাও নেই। চারদিকেই পানি। রুমের ভেতরে পানি বাইরে বৃষ্টি। ছেলে মেয়েরা রুমেও থাকতে পারছে না বাইরেও আসতে পারছে না। খুবই বিপদে রয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৩ 
এসএফ/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।