পদ্মা সেতু (মাওয়া) এলাকা থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। সে কারণে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত প্রকল্প গৃহীত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়া স্টেশনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আংশিক (ঢাকা-ভাঙ্গা) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুজন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে। অতীতে আমরা যে সময় অতিক্রম করেছি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মতো বৈরি পরিবেশে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও রেলওয়ে প্রকল্পগুলো চলমান ছিল। প্রচেষ্টার ফলে সেই রেলপথের কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) উপস্থিতিতে আমাদের কক্সবাজারের প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। যদিও যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ লক্ষ্য ঠিক করে এগুচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ সরকার।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক রুটটি। এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের সাথে যুক্ত হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এনবি/এমজে