ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পণ্যের সঙ্কট নেই, সমন্বয়ের অভাবেই দাম বেড়েছে: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
পণ্যের সঙ্কট নেই, সমন্বয়ের অভাবেই দাম বেড়েছে: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের বাজারে সংকট নেই। কিন্তু সমন্বয়ের অভাব ও কিছু সুবিধাভোগী লোকের জন্য বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।

এই বিষয়গুলো নিয়ে ডিএমপি কাজ করছে, প্রতিদিন মনিটরিংয়ে মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ডিএমপি সদরদপ্তরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের সংকট না থাকলেও সমন্বয়ের অভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে মালামাল কিনলে তাদের রশিদ দেওয়া হয় না। আবার ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা মালামাল কিনলে তাদেরও রশিদ দেওয়া হয় না।

সবশেষে ক্রেতারা মালামাল কিনতে গেলে তাদেরও স্লিপ দেয় না। এই স্লিপ না দেওয়ার কারণে কিছু সুবিধাভোগী মানুষরা এখানে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। তাই ব্যবসায়ীদের যেমন রশিদ নেওয়া উচিত, তাদেরও আবার সে ভাবে রশিদ দেওয়া উচিত।  

তিনি বলেন, আগে সড়ক যোগাযোগ তেমন ভালো ছিল না, কিন্তু এখন সড়ক যোগাযোগ অনেক ভালো। যার কারণে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঢাকায় চলে আসে। সে ক্ষেত্রে জিনিসপত্রের দাম কম হাওয়ার কথা।

সবজি উৎপাদনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। আমাদের এমন থাকার কথা নয়। যেই বিষয়টি তা হলো সমন্বয়ের অভাব, সবাই একসাথে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে তখন অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যাতায়াতে চাঁদাবাজির কথা উঠে এসেছে, এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

হাবিবুর রহমান বলেন, ডলার সংকটের কারণে সব দেশেই দ্রমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। সরকার এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যেই মনিটরিং কমিটি আছে, তাদের সঙ্গে পুলিশও থাকবে। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আমাদের পুলিশও অংশগ্রহণ করবে।

যাতে যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় করা যায়। যেকোনো সিন্ডিকেট ও যেকোনো অপতৎপরতাকে রুখে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

সিন্ডিকের পিছনে রাজনৈতিক যোগসূত্রতা রয়েছে, সেটা ভাঙা সম্ভব কি-না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক অপতৎপরতার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আছে তারা কাজ করছেন। যদি এই ধরনের কোনো কিছু আমাদের কাছে আসে, আমি পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, যেকোনো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ডিএমপি যেকোনো অবস্থায় তৎপর। যেকোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ডিএমপির রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন আর রশীদ, ডিএমপির ৫০ থানার ওসি, ৮ বিভাগের ডিসি, ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
পিএম/এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।