ফরিদপুর: জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভুবনেশ্বর নদে দেখা মিলেছে কুমিরের। নদে কুমির দেখে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।
তবে দেখা মিললেও কুমিরটি উদ্ধারে এখনও দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এতে আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিরটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে, বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলের দিকে গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামে ভুবনেশ্বর নদ অংশে কুমিরটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই চরভদ্রাসন থানা পুলিশ স্থানটি পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে একটি বাঁশের সাঁকোর নিচে কুমিরটি অবস্থান করছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি থেকে মাথা উঠিয়ে আবার ডুব দিচ্ছে কুমিরটি।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল ব্যাপারীর ছেলে সুজন জানায়, কুমিরের বিষয়টি সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানাজানি হয় এবং পরে এ ব্যাপারে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কাউছার ব্যাপারী বলেন, কুমিরের খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন। কিন্তু কুমিরটি উদ্ধারে এখনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিরের খোঁজে ফের ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুমিরটি পূর্বের স্থান হতে প্রায় এক কি.মি. দূরে ভাটিতে তেলিডাঙ্গী এলাকার সিকদারডাঙ্গী অবস্থান করছে। সেখানে নদের পানিতে কিছু সময় পর পর মাথা তুলে আবার ডুব দেয় কুমিরটি। এসময় কুমির দেখতে উৎসুক মানুষকে রাস্তার দুই পাশে ভিড় করতে দেখা গেছে।
কুমিরটি উদ্ধারে বুধবার রাত হতে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, এই নদের পানিতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা গোসল করে। পাশাপাশি গবাদি পশুকে গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন।
কুমিরটি উদ্ধারের বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদী মোর্শেদ বলেন, কুমিরের বিষয়টি আমি বন বিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা খুব শিগগিরই কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
এসএএইচ