ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেলা বাড়ার সঙ্গে সড়কে বাড়ছে যানবাহন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
বেলা বাড়ার সঙ্গে সড়কে বাড়ছে যানবাহন সড়কে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে যানবাহন

ঢাকা: বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ চলছে। রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হয়।

অবরোধ শুরুর আগের রাতেই রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। অবরোধ শুরুর সকালেও রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।  

সকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে খুব বেশি গণপরিবহন দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে।  

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে উত্তরা হাউস বিল্ডিং, আজমপুর, বিমানবন্দর এলাকায় যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে। যাত্রীসংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। সড়কে প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেল স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।  

রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় কর্মজীবীরা সকাল থেকে তাদের সুবিধামতো যানবাহনে চেপে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। তবে গণপরিবহন কম থাকায় মোটরসাইকেল, সিএনজি, রিকশায় করে অনেকে যাতায়াত শুরু করছেন।  

রাইদা এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, একদল অবরোধ ডাকছে। এই অবরোধে যদি গাড়ি না চালাই তাহলে খাব কী? বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে গাড়ি না চালাইলে পেটের ক্ষুধা মেটাতে পারব না। যারা অবরোধ ডেকেছে, তারা তো আর খাবার ঘরে দিয়ে যাবে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি।  

সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক চালক সোলাইমান বলেন, অবরোধে আমাদের চলাচল করতে সুবিধা হয় ঠিকই, কিন্তু ঝুঁকিও আছে। কারণ কেউ কাচ ভেঙে ফেললে পকেটের ২ হাজার টাকা জরিমানা। তারপরও গাড়ি চালাতে হয়। একদিন বসে থাকলেই লস। কারণ বাজারে জিনিসের দামে আগুন।  

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত (অবরোধের আগের রাত) ১২টি আগুনের সংবাদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে সাতটি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ,গাজীপুর) দুটি, রাজশাহী বিভাগ (সিরাজগঞ্জ) একটি, বরিশাল (চরফ্যাশন) একটি, রংপুর (পীরগঞ্জ) একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নয়টি বাস, একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় পুড়েছে।  

অবরোধে যেন নাশকতা না ঘটে, সেজন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুরো রাজধানীতে র‍্যাব-পুলিশের টহল রয়েছে। সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রাজধানীতে টহল দিচ্ছেন র‍্যাবের পর্যাপ্ত সদস্য।  

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও টহলে রয়েছেন। ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্ট্যান্ডবাই রয়েছে আরও ১০ প্লাটুন।  

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র‍্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।