পঞ্চগড়: হিলালয়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রতি বছর নিদিষ্ট সময়ের আগেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসে শীত। এবারও উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিম শীতল বাতাসের জন্য ক্রমশ তাপমাত্রা কখনও হ্রাস আবার কখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটিও ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ জেলায় টানা ৫ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ কিছুটা কুয়াশা কেটেছে তবে হ্রাস পায়নি শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল হওয়া বইতে শুরু করে জেলার উপর দিয়ে। তা অব্যাহত থাকে পর দিন সকাল পর্যন্ত। ফলের এখানকার গরীব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় পৌর শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, শীতের কারণে বাইরে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আমরা আগের মতো যাত্রী না পেয়ে বেকার সময় পার করছি।
একই কথা বলেন জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকার চা শ্রমিক নুর ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা আগে অনেকেই ভোরে বের হতাম। কিন্তু শীতের কারণে এখন সকাল ৬টার পর বের হতে হচ্ছে। ফলে বেশি পাতা কাটতে না পারায় মজুরিও কমে গেছে।
শীতের কারণে কাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানালেন জাহিদুল ইসলাম নামে এক পাথর শ্রমিক।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে বলেন, টানা ৫ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এখানে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯-১০ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে। এটাকে মৃদু শ্বৈত্য প্রবাহ ধরা হয়। মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এফআর