ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে ‘ঐক্যমতের বাজারে’ ১৩ টাকায় বাজার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
নীলফামারীতে ‘ঐক্যমতের বাজারে’ ১৩ টাকায় বাজার!

নীলফামারী: নীলফামারীতে ১৩ টাকার বিনিময়ে অসহায় ২০০ পরিবার ‘ঐক্যমতের বাজারে’ পেলেন প্রায় ১ হাজার টাকার নিত্যপণ্য।  

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) জেলা সদর উপজেলা শহরে আশা কমিউনিটি সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ এ বাজার বসানো হয়।

সেখানে সারি সারি সাজানো চাল, ডাল,
তেল, লবণ, আটা, সুজি, ডিম, মাছ, মাংস ও শীতবস্ত্র লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের পছন্দ মতো ব্যাগভর্তি বাজার করে নিয়ে যান অসহায় মানুষরা।

বাজারটিতে নিত্যপণ্যের দাম ছিল- চাল ১ টাকা, ডাল ২ টাকা, চিনি ৩ টাকা, মাছ ৫ টাকা, মুরগি ৫ টাকা, এক ডজন ডিম ২ টাকা, কম্বল ৪ টাকা, শীতবস্ত্র ১ টাকা, ছোলা ১ টাকা, তেল ৫ টাকা, লবণ ১ টাকা, আটা ৩ টাকা ও সুজি ১ টাকা। আর প্রতিজনকে ১৩ টাকার মধ্যে কিনতে হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য।  

বর্তমান বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষজন। হঠাৎ এ সময় হাজির ঐক্যমতের বাজার নিয়ে ব্যতিক্রমী একটি সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এই বাজারে ১-৫ টাকার মধ্যে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পেরে খুশি অসহায় এসব মানুষজন।

ঐক্যমতের বাজারের আয়োজন করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।

এই ভ্রাম্যমাণ বাজারে আসা লাকি বেগম বলেন, আমি একজন অসহায় মানুষ। আমি ঠিকমতো চলতে পারি না। বর্তমান বাজারে যে অবস্থা এতে করে আমরা গরিব মানুষ বাঁচতে পারব না। আজকে ১৩ টাকায় চাল, ডাল, মুরগির মাংস ও শীতের কাপড়।

আতাউর রহমান বলেন, আমার কোনো ছেলে সন্তান নাই। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। সে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। আমি একা মানুষ। এখানে আজ আমি কম দামে বাজার পেয়ে খুব খুশি। আমার জীবনে এরকম বাজার করেনি। যে বাজার করেছি এতে করে আমার এক সপ্তাহ চলে যাবে।

হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন বাইসাইকেল মেকানিক। কোনো মতে দিন চলে আমাদের। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে এসব কিছু কেনা আমাদের সাধ্যের বাইরে। এখানে ১-৫ টাকায় বাজার কিনে আমি অনেক খুশি।

লাভলী বেগম বলেন, আমি তেল, ডাল, মুরগি, আমার বাচ্চার জন্য কাপর নিলাম। এখানে কম দামে পেয়ে আমি অনেক খুশি।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। শীতের পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে অসহায় পরিবারের মানুষদের মাঝে। প্রতিজন অসহায় মানুষ ১৩ টাকার বিনিময়ে ঐক্যমতের বাজারে কিনতে পারবেন এসব পণ্য। আমরা এসব মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করছি।  

তিনি বলেন, আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে শেষ করে এখন জেলা পর্যায়ে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা বিভিন্ন স্থানে এ ইভেন্ট পরিচালনা করছি। আমি আশাবাদী সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. হাসিব মিয়া, ফাউন্ডেশনের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।