ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ এলাকা থেকে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২) যারা মূলত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গ্রেপ্তাররা দিনে গাড়ির হেলপার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা, রাজমিস্ত্রির কাজ করে।
গ্রেপ্তার গ্যাং সদস্যরা ডাকাতি-চাঁদাবাজিতেও জড়িত। প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। কেউ কেউ জেলও খেটেছিল। ছাড়া পেয়ে আবার অপকাণ্ডে জড়িয়েছে তারা।
র্যাব জানায়, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাব-২-এর একাধিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের এই ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা ‘কিশোর গ্যাং পাটালি গ্রুপের’ অন্যতম মূলহোতা সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজিব; ‘লেভেল হাই’ দলের মো. শরিফ ওরফে মোহন এবং ‘চাঁন গ্রুপ’, ‘মাউরা ইমরান গ্রুপ’সহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য।
এর মধ্যে পাটালি গ্রুপের ৫, লেভেল হাই গ্রুপের ৬, চাঁন গ্রুপের ৬, লও ঠ্যালা গ্রুপের ৫ ও মাউরা ইমরান গ্রুপের ৭ সদস্য রয়েছে। বাকি ৭ জন অন্য গ্রুপের সদস্য। এক একটি গ্রুপে ২০-১৫ জন করে সদস্য থাকে। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, পাটালি গ্রুপটি সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজিবের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়।
লেভেল হাই গ্রুপটি গ্রেপ্তার শরিফ ওরফে মোহনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রেপ্তাররা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো।
এসব গ্রুপের গ্রেপ্তাররা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, আদাবর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারি, মাদকসহ বিভিন্ন ধরণের বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমেও জড়িত।
তিনি বলেন, সুজন মিয়া ওরফে ফর্মা সজিব পাটালি গ্রুপের মূলহোতা। শরিফ ওরফে মোহন (২১) লেভেল হাই গ্রুপের মূলহোতা ও সন্ত্রাসী হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত অন্যতম প্রধান সহযোগী। গ্রেপ্তার দুলাল, সোহাগ ও তারেক- তারা লেভেল হাই গ্রুপের সদস্য। সাকিব ওরফে প্রকাশ রিয়াম চাঁন গ্রুপের অন্যতম সহযোগী সদস্য। ইমরান ওরফে মাউরা ইমরান মাউরা ইমরান গ্রুপের সদস্য। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত ২৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের বিরুদ্ধে বাকি আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
পিএম/এমজে