ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি স্বামীর জন্য কাঁদছেন ইয়ামনি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
সোমালিয়ার দস্যুদের হাতে জিম্মি স্বামীর জন্য কাঁদছেন ইয়ামনি

পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীর ইয়ামনি তার স্বামীর জন্য কাঁদছেন। ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে রয়েছেন তার স্বামী আলী হোসেন।

 

মাত্র আট-নয় মাস আগে আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ইয়ামনির। স্বামী হারানোর শঙ্কায় কাঁদছেন তিনি। জলদস্যুদের হাতে আটক আলী হোসেন জেলার কাউখালী উপজেলার ইমাম হোসেন মল্লিকের ছেলে।  

আলী হোসেন জাহাজের ওয়েলার হিসেবে চাকরি করেন। আর জিম্মি আলী হোসেনের পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে  বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী গ্রামে থাকেন।

জলদস্যুদের হাতে আলী হোসেন জিম্মি হওয়ার পর তার বাড়ি গেলে আলী হোসেনের স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে ভীষণ উদ্বিগ্ন দেখা যায়।

তার বাবা ইমাম হোসেন মল্লিক জানান, ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায়। এর আগে সেদিন বিকেল ৩টার দিকে ফোন দিয়ে তিনি জানান যে তাদের জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। সর্বশেষ সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে তিনি জানান যে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সোমালিয়ার দিকে। এখন থেকে যোগাযোগের সবকিছু মানে মোবাইল ফোন ও জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জলদস্যুরা। ফলে মুক্তি পাওয়া কিংবা বেঁচে না ফেরা পর্যন্ত আর কথা হবে না পরিবারের কারও সঙ্গে।

বাইশারীর কুমাড়ের পাড় বিশারীকান্দি সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর নারায়ণগঞ্জের মেরিন একাডেমিতে চার বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন আলী হোসেন। এরপর চাকরি নেন জাহাজে। যে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে ওই কোম্পানিতেই আলী প্রথম চাকরি করেন। এর আগেও দুবার জাহাজে চেপে বিদেশে গিয়েছিলেন আলী হোসেন। এটা তার তৃতীয় সমুদ্রযাত্রা।
দুই ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের ছোট ছেলে আলী হোসেনের আরেক ভাই জুলফিকার চাকরি করেন পল্লী বিদ্যুতে। দুই ভাই বাবা, মা, ভাবি আর স্ত্রীকে নিয়েই আলীর সংসার।

আলী হোসেনের বাবা জানান, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় শেষবারের মতো কথা হওয়ার পর বহু চেষ্টা করেও আলীর মোবাইল ফোনে আর কল যাচ্ছে না। ফলে ছেলের সঙ্গে কথাও বলতে পারেননি তিনি। আলী হোসেন যে জাহাজে চাকরি করেন, সেই কোম্পানির পক্ষ থেকে ফোন কল দিয়ে তাদের সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে।  

তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, যেভাবেই হোক তার সন্তানসহ জিম্মি জাহাজের ২৩ নাবিককে যেন উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ কবির স্টিলসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।