বরিশাল: জেলা নগরের কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের প্রায় দুই মাস পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে নালিশি মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন নালিশি অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করেছেন। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নালিশি অভিযোগে চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন- ওই তরুণীর প্রেমিক ও নগরের কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা জামাল সিকদারের ছেলে রিয়াজ সিকদার, বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা মানিক হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার, নগরের সিঅ্যান্ডবি রোড তৈয়ব ম্যানসনের মো. আলালের ছেলে বাধন এবং সাগরদী হামিদ খান সড়কের শুক্কুর ভূঁইয়ার ছেলে সাকিব ভূঁইয়া।
এ মামলার বাদী কলি বেগম নগরের পলাশপুর এম হোসেন গলির বাসিন্দা।
নালিশির বরাতে বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির জানান, এক সন্তানের জননী ইসরাত জাহান টুম্পা নগরে পলাশপুর এলাকার একটি সমিতির মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। তার সঙ্গে রিয়াজ সিকদারের পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রয়াজ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টুম্পা ও তার ৬ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে নগরের কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার মাহামুদা নীড়ে বাসা নেন। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করতেন।
নালিশিতে আরও উল্লেখ করা হয়, টুম্পা বিয়ে জন্য রিয়াজকে চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রিয়াজ সিকদার তার বন্ধু রিয়াজ হাওলাদার, বাধন ও সাকিবকে নিয়ে বাসায় আসেন। তখন টুম্পার ৬ বছর বয়সী ছেলে আলিফকে পাশের বাসায় রেখে আসা হয়। পরে রিয়াজসহ তার বন্ধুরা টুম্পাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ জন্য রাগে-দুঃখে টুম্পা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
এমএস/এফআর