ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে অ্যাপ আনছে পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে অ্যাপ আনছে পুলিশ

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জায়গার সড়ক দুর্ঘটনার যাবতীয় তথ্য একসঙ্গে সন্নিবেশিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এসব তথ্য পাওয়া যাবে পুলিশের নতুন অ্যাপ্লিকেশনে (অ্যাপ)।

আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ’ আয়োজিত ‘রোড ট্রাফিক ডেটা ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক কর্মশালায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহামুদ হাসান।

কর্মশালায় এই অ্যাপ নিয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদ হাসান জানান, ২০১৮ সালে তারা এই অ্যাপ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এখনও এটির কাজ চলমান রয়েছে। তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি উন্মুক্ত করা হতে পারে।

accidentinfo.police.gov.bd এই ঠিকানায় দুর্ঘটনার তথ্য পাওয়া যাবে। এটি পরবর্তীতে গুগল প্লে স্টোরেও থাকবে। বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে বাস্তবিক সময়ের দুর্ঘটনার তথ্য পাওয়া যাবে। আর-থ্রি সফটওয়ার কোম্পানি অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে।  

পুলিশের এই করকর্তা বলেন, অ্যাপে দুর্ঘটনার সময়ের আবহাওয়া কেমন ছিল তা জানা যাবে। বয়স অনুযায়ী যারা দুর্ঘটনায় হতাহত হবে তাদের তথ্য থাকবে। যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটবে সেই রাস্তা কেমন ছিল সেটি জানা যাবে। জানা যাবে কী বারে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও এসব কিছু সম্ভব হবে যদি দুর্ঘটনার পর এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী), সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আবার হাসপাতাল থেকেও তথ্য নেবে পুলিশ।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদ হাসান বলেন, সাধারণত অনেক দুর্ঘটনা ঘটার পর সেটি দুই পক্ষে মীমাংসা হয়। সেটির তথ্য সহজে পাওয়া যায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে নিহতের শরীরের ময়নাতদন্ত করা হয় না। পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করে। কারণ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর যদি থানায় অভিযোগ হয় বা সাধারণ ডায়েরি হয় তবে সেটি ময়নাতদন্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশের কাছে তথ্য থাকে।

কর্মশালায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ মাজাহারুল হক, সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন হাসপাতালের পরিচালক  অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজজামান, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা তাদের তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণ তুলে ধরে।

অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজজামান বলেন, একেক সংস্থা একেক রকম তথ্য দিচ্ছে। তবে সবাই যদি সম্মেলিতভাবে একই রকম তথ্য দেয় তবে সুবিধা হবে। না হলে একেক সংস্থা একেক তথ্য দিলে কোনটি নিয়ে কাজ করা হবে সেটি প্রশ্ন থেকে যায়।  

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জাতিসংঘ বারবার বলছে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে। কিন্তু কিছু হচ্ছে না। এখানে কয়েকটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ দেখানো হলো। এটা অনেকটা অন্ধের হাতি দেখার মতো। একেক জন একেকটা নিয়ে কথা বলছে। সকলকে এক জায়গায় আনতে হবে।  

তিনি বলেন, এখন সড়ক পরিবহন আইন হয়েছে। সেখানে একটা জায়গা রয়েছে, এই দুর্ঘটনা নিয়ে আলাদা জায়গা করার। একজন সচিবকে নিয়ে সেটি করার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এনবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।