কক্সবাজার: সম্মিলিত মৈত্রী শোভাযাত্রা, হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, সমবেত প্রার্থনা, ধর্মসভাসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে কক্সবারের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) শেষ হলো দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন।
সকাল সাড়ে আটটায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার থেকে শুরু হয় শান্তি শোভাযাত্রা। রামুর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একইস্থানে শেষ হয়।
সিদ্ধার্থের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ এবং বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ সাক্ষাতের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য সম্বলিত সুসজ্জিত গাড়িবহর, সুসজ্জিত ছাদখোলা গাড়িতে ধ্যানী বুদ্ধের প্রতিবিম্ব, সাথে ত্রিশরণের প্রতিধ্বনিতে এক অন্যরকম গুরুগম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি হয় শোভাযাত্রায়।
নারী-পুরুষদের হাতে হাতে ছোট-বড় অসংখ্য জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা, বাঁশের তৈরি কুলায় আলপনা এঁকে নতুন বুদ্ধবর্ষকে বরণ, সবমিলে দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর ছিল সব আয়োজন।
দিনটিকে ঘিরে বিহার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। প্রথমে রক্তদান করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রামু জাদিপাড়া আর্য বংশ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত চন্দ্র বোধি ভিক্ষু।
সকাল ১০টায় শুরু হয় সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান ও সদ্ধর্মালোচনা সভা। করুণা মহাথের সভাপতিত্বে ধর্ম এতে ধর্মদেশনা করেন শীলপ্রিয় মহাথের, ক্ষান্ত্রিপঞ্ঞা থের, শরণপ্রিয় থের, সৌরবোধি থের এবং প্রজ্ঞানন্দ থের প্রমুখ।
একই দিন দুপুরে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রোগীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয়।
এদিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল।
বিকেলে সদ্ধর্মালোচনা, সন্ধ্যায় দেশ ও বিশ্বশান্তি কামনায় হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন ও সমবেত উপাসনার মধ্য দিয়ে বুদ্ধপূর্ণিমার প্রথম দিনের কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অষ্ঠশীল পরিত্যাগের মাধ্যমে দুই দিনের আয়োজন শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
এসবি/এএটি