ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

থামানোই যাচ্ছে না পর্যটকদের, ‘রিমাল’ দেখতে সৈকতে ভিড়

সুনীল বড়ুয়া,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
থামানোই যাচ্ছে না পর্যটকদের, ‘রিমাল’ দেখতে সৈকতে ভিড়

কক্সবাজার: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল। এ পরিস্থিতিতে সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সাগরে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

কিন্তু এ নির্দেশনা মানতে নারাজ তারা।  

রোববার (২৬ মে) বিকেলের দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত উপেক্ষা করে পর্যটকেরা চলে আসেন কক্সবাজার সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে। অথচ সকাল থেকেই পর্যটকদের সাগরে নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং করছেন জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সি সেইফের লাইফগার্ড কর্মীরা।  

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। কিন্তু পর্যটকদের অনুরোধ করেও সরানো যাচ্ছে না।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে কক্সবাজারে এসেছেন মোসলেহ উদ্দিন। বিকেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে আসেন তিনি। মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অনেক দিন ধরে ভাবছি কক্সবাজার আসব। এসেই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে গেলাম। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় সৈকতে চলে এলাম। সবকিছু স্বাভাবিক।  

আরেক পর্যটক সুমন রহমান বলেন, ঝড় দেখতেই সৈকতে নেমেছি। এ সুযোগ তো মিস করা যাবে না।

শুধু পর্যটক নন, ঝড়ের তীব্রতা দেখতে সাগরতীরে ভিড় করছেন স্থানীয়রাও। অনেককে ঝড় নিয়ে কন্টেন্ট বানাতেও দেখা গেছে। কেউ কেউ ভাঙনরোধে বসানো জিওব্যাগে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর দেখছেন।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল,রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে সাগরে নামতে না পারেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কিন্তু কিছু পর্যটককে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিকেলে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় ভিড় বেড়ে যায়।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাগরে গোসলে নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং হচ্ছে। সকাল থেকে সৈকতকর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু পর্যটকদের থামাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেস সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।