ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে প্রস্তুত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
ঈদে প্রস্তুত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট 

মানিকগঞ্জ: নাড়ির টানে দেশে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া।  

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষ ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এরই মধ্যে ঘাট প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

 

অপরদিকে মহাসড়কের যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ প্রশাসন এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে।  

জানা গেছে, এবারের ঈদে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ ও যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে যাত্রী ও যানবাহনের জন্য ১২টি রো-রো, দুটি ইউটিলিটি, একটি মাঝারি এবং তিনটি কে-টাইপ ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  

অপরদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে আরও ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই দুটি নৌরুটে (কাটা যাত্রী) পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ২০টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। মহাসড়ক ও ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।  

পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটের লঞ্চ মালিক সমিতির ম্যানেজার পান্নালাল নন্দী বলেন, বর্তমানে নদীতে পানি বাড়তি, সে কারণে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে পদ্মা ও যমুনা নদী পাড়ি দেবে লঞ্চগুলো। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে আমরা সম্পন্ন করেছি। আমাদের এই দুটি নৌরুটে মোট ৩৪টি লঞ্চ যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে।  

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ্ খালিদ নেওয়াজ বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে আমরা বিআইডব্লিউটিসি যাত্রী ও যানবাহন নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপারের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। পর্যাপ্ত ফেরি এই নৌরুটে রয়েছে, যার কারণে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যাত্রীরা পদ্মা ও যমুনা নদী হতে পারবেন।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুজন সরকার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায় যাত্রী যানবাহনের নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।  

অপরদিকে আমাদের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মহাসড়কসহ ঘাট এলাকায় টহলরত থাকবেন, যাতে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।  

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) রেহেনা আখতার বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষ এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট দিয়ে পার হয়ে থাকেন। তাদের (ঈদে ঘরমুখো মানুষ) সার্বিক সেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল টিমসহ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটা দায়িত্ব পালন করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।