ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত সংলাপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত সংলাপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ ও ভারত যে-সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা দূর করতে সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লি সময় সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজ প্যালেসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো অনুভব করছি সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি।

সৌজন্য সাক্ষাতের আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এ সাক্ষাতে দুদেশে নতুন সরকার গঠনের পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

মুখ্য সচিব বলেন, দুই নতুন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। তাই দুদেশে নতুন ভিশন যুক্ত হবে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে, এ সম্পর্ককে এখন নতুন অধ্যায়ে নেওয়া যেতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এ নতুন অধ্যায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে লজিস্টিক, জ্বালানি ও কানেকটিভিটি খাতে গভীরভাবে কাজ করতে চায়।

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেখ হাসিনাকে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) জন্য একটি নতুন ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান ড. এস জয়শঙ্কর।

আগামী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেকের পরবর্তী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হন বিমসটেক শক্তিশালী হলে তা অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, কানেকটিভিটি ও ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে।

সাক্ষাতে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে কর ও রাজস্ব সংগ্রহ এবং জনগণকে সেবা দেওয়া উন্নয়ন করাসহ ডিজিটাল কর্মসূচির উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশী দেশের প্রকল্প দ্রুত ও সহজে শেষ করার ওপর জোর দেন। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একমত হন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার সরকার ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন প্রয়োজনে বিমসটেকে মিয়ানমারকে বাদ দিয়ে অন্যান্য সদস্যদেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। কারণ মিয়ানমারের কারণে ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।