সাতক্ষীরা: জেলার কালিগঞ্জে পূজার প্রসাদ (খিচুড়ি) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ৭০ জন পুণ্যার্থী। এর মধ্যে কাব্য দত্ত নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
কাব্য দত্ত খুলনার চুকনগর সংলগ্ন শৈলগাতী গ্রামের উত্তম দত্তের ছেলে। মায়ের সঙ্গে নানা অশোক দত্তের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুরে অনুষ্ঠিত বাসন্তী পূজায় অংশ নেয় সে।
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর বানিয়াজাংগাল বাসন্তী পূজা মন্দিরের সভাপতি শংকর দত্ত বলেন, শনিবার রাতে মন্দির প্রাঙ্গণে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষ্যে পূজা-অর্চনা চলছিল। কীর্তন শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। পরদিন প্রসাদ খাওয়া ভক্তদের অনেকেই বমি ও পাতলা পায়খানা করতে থাকেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ৩০-৩৫ জনকে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাঁচ জনকে খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া অন্যান্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন। পরে সকালে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অসুস্থদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পিযুশ রায় জানান, অসুস্থ পুণ্যার্থীদের মধ্যে বিষ্ণুপুর গ্রামের অশোক দত্তের মেয়ে ও কাব্যদত্তের মা তিথি দত্ত (২৩), নিমাই সেনে ছেলে দীপু সেন (৪২), চন্ডিচরণ দত্তের ছেলে সুব্রত দত্ত (৪২) ও অসীম দত্তের (৩২) অবস্থা আশংকাজনক।
বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, হরি নাম সংকীর্তন শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসাদ খেয়ে পরদিন ৭০-৭৫ জন বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোববার রাতে কাব্য দত্তকে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু খুলনায় যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২০২৪
এসএম