ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অষ্টম দিনেও সিকৃবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
অষ্টম দিনেও সিকৃবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি

সিলেট: প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে অষ্টম দিনের মতো রোববার (৮ জুলাই) সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্তিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতি পালন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আল মামুনের সঞ্চালনায় নেতারা বক্তব্য দেন।

এছাড়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. আফরাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অফিসার নেতারা বক্তব্য দেন।  

অপরদিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মো. শরীফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, অ্যানিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মুখে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমরা করুণা চাচ্ছি না, আমরাই জাতি গঠন করি। আমরা আমাদের অধিকার চাচ্ছি। আমাদের এ সময়ে এসে নতুন পে-স্কেল ও সুপারগ্রেড নিয়ে আন্দোলন করার কথা। কিন্তু আমাদের সেই আগের পে-স্কেল নিয়েই পড়ে থাকতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে একজন শিক্ষক মাত্র ২৩ হাজার টাকা বেসিকে চাকরি শুরু করতেন। এরপর ৯ বছর পরেও একই বেতনে চাকরিতে ঢুকছেন। প্রত্যয় স্কিমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুবিধা কর্তন করা হয়েছে। এটা অন্যায়, অবিচার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করতে চান না, তারা ক্লাসে ফিরতে চান। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের স্বার্থপর বলবে। সেই কলঙ্ক থেকে বাঁচতেই আমরা আন্দোলন করছি।  

অফিসার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ ছায়াদ মিয়া বলেন, একটা দুষ্টুচক্র সরকারকে বিপথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে। এ প্রত্যয় স্কিমই এ দুষ্টুচক্রের ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা প্রত্যাশা করবো সরকার এ দুষ্টুচক্রের ষড়যন্ত্রে পা দেবে না। আমরা বলবো সরকারের যারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আছেন তারা কর্মকর্তাদের এ ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে আলোচনায় বসবেন। না হলে বিশ্ববিদ্যালয় অচল থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৪
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।