ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত পিবিআইয়ে স্থানান্তর

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত পিবিআইয়ে স্থানান্তর

রংপুর: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাকে গুলি করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

অথচ পুলিশের প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হননি।

এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এ হত্যা মামলাটি তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সোমবার (১২ আগস্ট) এ মামলা তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দিক থেকে গুলি ছুড়তে থাকে এবং ইটের টুকরা নিক্ষেপের একপর্যায়ে এক শিক্ষার্থীকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন সহপাঠীরা সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলাটি তাজহাট থানায় নথিভুক্ত করা এফআইআরে সাঈদ হত্যার ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  

অন্যদিকে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দায়িত্বরত পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।

রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত করবে পিবিআই।

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ হয়।

ওই দিন পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্রনামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য হতে কং/ ১১৮৬ সোহেল তার নিজের নামে সরকারি ইস্যুকৃত শর্টগান থেকে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী জানান, এ মামলার তদন্তভার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি এখন থেকে তদন্ত করবে পিবিআই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।