ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মায় নৌকাডুবি: নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
পদ্মায় নৌকাডুবি: নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজশাহী: রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির পর নিখোঁজ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার এক দিন পর প্রথমে মোহাম্মদ আলী ও রাজু নামের দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

তারা সম্পর্কে শ্যালক ও দুলাভাই। এরপর আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে নৌকা নিয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। গভীর রাতে পর পর চার জনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন স্থানীয়রা। পরে তাদের চার জনের মরদেহ বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

নিহত বাকি দুজনের মধ্যে একজনের নাম ফারুক হোসেন এবং অন্য জনের সবুজ মিয়া।

রাজশাহীর পবা উপজেলার ৪নং হরিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ুন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে মরদেহের জন্য নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছিলেন স্বজনরা। তাই সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েই লোকজন নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধারের জন্য নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন। এরপর ভারতীয় সীমানা সংলগ্ন বাংলাদেশ চরের অংশ থেকেই এক এক করে ভাসমান অবস্থায় মরদেহগুলো পাওয়া যায়। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজার নামাজ শেষে তাদের মরদেহ দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় চারজন শ্রমিক নিখোঁজ হন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহীর পবা ‍উপজেলার চর মাজারদিয়াড়ে যাওয়ার সময় পদ্মায় এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।

ছোট একটি নৌকা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপারের সময় স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়। একটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় ১৬ জন যাত্রী কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা চর মাজারদিয়ার ঘাটের কাছাকাছি আসলে নৌকাটি ডুবে যায়। বাকিরা সাঁতার কেটে পাড়ে আসতে পারলেও চার জন শ্রমিক নিখোঁজ হন।

আর নিখোঁজরা সবাই পবা উপজেলার চর মাজরদিয়ারের বাসিন্দা ছিলেন। পরে এই চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- ওই এলাকার এনামুল হকের ছেলে মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলী, আবুল কালামের ছেলে ফারুক হোসেন ও এন্তাজুলের ছেলে সবুজ মিয়া।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক একেএম মুর্শেদ জানান, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় গতকাল রোববার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর রাতে স্থানীয়রাই মরদেহগুলো উদ্ধার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
এসএস/এমএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।