ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দেশে তিনবার তিনটি গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪
‘দেশে তিনবার তিনটি গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার’

ফরিদপুর: আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচারী হিসেবে সমালোচনা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, দেশটাকে তারা এমন জায়গায় দাঁড় করিয়েছিল যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না।  

তিনি বলেন, দেশে তিনবার তিনটি গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।

অসংখ্য মানুষের প্রাণের বিনিময়ে তাদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ শাসন করেছে। আল্লাহ সবচেয়ে বড় হেফাজতকারী, তাই তিনি এই জালেম সরকারের পতন ঘটিয়ে আমাদের রক্ষা করেছেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরের আলিপুর গোরস্থান মসজিদ চত্বরে জামায়াতে ইসলামী জেলা আমির মাওলানা মো. বদরুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্ব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ এসব কথা বলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এমন কাজই করেছে যে, তাদের পালিয়ে যেতে হয়েছে। তারা বড় বড় মেঘা প্রকল্প করে মেঘা লুটপাট করেছে। সরকারের দুর্নীতিবাজরা টাকা লুটপাট করে দেশের বাইরে বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে।  

শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আন্দোলন ছিল ছাত্র সমাজের অধিকারের আন্দোলন। ছাত্রদের দাবিকে সরকারও যৌক্তিক দাবি বলেছেন। সরকারের উচিত ছিল, ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে অভিভাবকত্বের দায়িত্ব পালন করা। তা না করে আন্দোলন দমাতে গিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শত শত ছাত্রদের হত্যা করেছে। এক পর্যায়ে স্বৈরাচারী সরকার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।  

হামিদুর রহমান আজাদ আরও বলেন, গত ১৫ বছর নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। জনগণের টাকা হরণ করে তারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

কোটা আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলার সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল ওহাবের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবু হারিচ মোল্লা, নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও অঞ্চল  সহকারী পরিচালক প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব, শহীদ পরিবারের সদস্য তাসিম শিকদার, মো. কামরুল ইসলাম সেতু, রোহেদুন শেজবাহ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ফরিদপুরের ১০ শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে ২ লাখ করে আর্থিক অনুদান দেন জামায়াতে ইসলামী। ফরিদপুরে বসবাসরত সাত শহীদ পরিবার এবং তিন শহীদ পরিবারকে ঢাকার বাসায় আর্থিক অনুদান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আলীপুর গোরস্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।