ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সকালে খোলা, দাবির মুখে দুপুরেই ৩০ কারখানায় ছুটি

অতিথি করেসপন্ডেন্ট, সাভার (ঢাকা) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
সকালে খোলা, দাবির মুখে দুপুরেই ৩০ কারখানায় ছুটি

ঢাকা: বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বেশিরভাগ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছিল। রোববার (৮ আগস্ট) সকালে কারখানা খুললেও শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির মুখে দুপুর নাগাদ ৩০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

দুপুর দেড়টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৯ দিন ধরে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির কারণে আশুলিয়ার পোশাক খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিজিএমইএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সকালে কারখানাগুলোর মালিক পক্ষে উপস্থিতিতে সেগুলো খোলা হয়। ৩০ কারখানার শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মালিক পক্ষের আলোচনাও হয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় দুপুরে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

পোশাক শ্রমিকরা জানায়, বেলা ১১টা পর্যন্ত আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে, নিউএজ, আল মুসলিম, হা-মীমসহ কয়েকটি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলে অন্যান্য কারখানায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে ৩০টিরও বেশি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে মালিকপক্ষ আলোচনা করলেও অনেক কারখানার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এখন পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের বাকি কারখানাগুলোয় কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহমেদ মুঈদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একটি কারখানায় এখনও রয়েছি। কারখানাটির কর্তৃপক্ষ শ্রমিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। তাই কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে। ঠিক কতগুলো কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা আমি এখনো জানি না। ছুটি ঘোষণা করা কারখানাগুলোর শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছেন। তারা কোনো অবরোধ বা বিক্ষোভ করেনি।

বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, সকালে আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানা খুললেও ইয়াগি বাংলাদেশ, নিউএজ, আল মুসলিম, জেনারেশন নেক্সটসহ অন্তত ২০টি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বের হয়ে যায়। এছাড়া লুসাকা, মাসকাট, বেক্সিমকো (২১ ইউনিট) নিট কম্পোজিটসহ সাতটি গ্রুপ বা কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এছাড়া শুরু থেকেই ৫-৬টি কারখানা শ্রমিকদের দাবির মুখে বন্ধ।

শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে কারখানাগুলোয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছিল শ্রমিকরা। দুয়েকটি কারখানা ছাড়া বাকিগুলোয় কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। বেলা ১১টার পর বিভিন্ন দাবি নিয়ে মালিকপক্ষের শ্রমিকদের আলোচনা হয়। তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় ৩০ কারখানায় কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।