ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি, প্রতিশোধের রাজনীতি: মামুনুল হক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি, প্রতিশোধের রাজনীতি: মামুনুল হক

খুলনা: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল, ১৫ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি, প্রতিশোধের রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে তিনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে গণসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, এ দেশের মানুষ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা শেখ হাসিনা করেছেন। দেশটা যেন তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয় সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন। আমার কাছে আশ্চর্য লাগে- একটা বিধবা নারীর কত টাকা লাগে? লাখ কোটি টাকা আমার গরিব দেশ থেকে পাচার করলা, দেশের শ্রমিকরা মেহনত করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিদেশ থেকে আমাদের ছেলেরা-মেয়েরা কষ্টার্জিত পয়সা দেশে পাঠায়। আর আশা করে বাংলাদেশ উন্নত হবে। তোমরা মেগা মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীতকে ধসিয়ে দিলে। আসলে তাদের এত টাকার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু চুরি করেছে শুধু এজন্য যেন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। বাংলাদেশটাকে আরেকটা দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চক্রান্ত করেছে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এ গণসমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুর রহমান।

অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে আমার ভাইদের হত্যা করা হয়েছে, ২০০৯ সালে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, ২০২১ সালে আমাদের হত্যা করা হয়েছে, আমাদের নির্বিচারে জেলখানায় পুরে রাখা হয়েছে। ২০২৪ সালে আমাদের ছেলে-মেয়েদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন, সেই ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন নিয়োগ দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এটার দ্রুত কাজ চালাতে হবে। শেখ হাসিনা কোন বলে, কোন যুক্তির বলে এখনো পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। এতগুলো মামলার আসামি হওয়ার পর এখনও তার নামে কেন ইন্টারপোলের রের্ড এলার্ট জারি হলো না।

ইন্টারপোলে রের্ড এলার্ট জারি করে শেখ হাসিনা এবং তার খুনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের ধরে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে। আর তার আগে শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিয়ে কোথায় কোথায় টাকা পাচার করেছে সব উদ্ধার করতে হবে। পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে এনে দেশের মানুষের কল্যাণে বিনিয়োগ করতে হবে।
  
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের খুলনা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুজিবর রহমান। সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর  ১২  ২০২৪
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।