ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটমুক্ত করার দাবি বায়রার নেতাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটমুক্ত করার দাবি বায়রার নেতাদের

ঢাকা: জনশক্তি পাঠানোর খাতকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) নেতারা।

তারা বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের খাতকে গতিশীল করতে হলে বায়রাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে।

একইসঙ্গে এ খাতে যারা দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, বায়রা সিন্ডিকেটের মূলহোতা হলেন- রুহুল আমিন স্বপন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নিজাম হাজারী, বেনজির আহমেদ, মহিউদ্দিন মহি, কাজী মফিজুর রহমান। তিনি তাদের বিরুদ্ধে টাকা পাচার ও ব্যাপক অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।  

তিনি বলেন, তাদের সিন্ডিকেটেরে কারণে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে তাদের সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির কারণে।  

রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের খাত হলো বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত। এ খাত থেকে প্রতিবছর ২২ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। বিগত স্বৈরশাসকদের প্রেতাত্মাদের সিন্ডিকেটের কারণে এ খাত চরমভাবে কলঙ্কিত। তাদের কারণেই মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বার বার বন্ধ হচ্ছে। তাদের কারণে মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার ডিমান্ডের বিপরীতে কর্মী যেতে পারেনি। যার মধ্যে ১৭ হাজার ছিল চূড়ান্তভাবে বিএমইটি সম্পন্ন করা।

মালয়েশিয়ায় যে সব শ্রমিক যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদেরকেই টাকা ফেরত দিতে হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও তারা বায়রাকে সিন্ডিকেটমুক্ত করবেন। সংগঠনের অন্যান্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।