ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুই ধাপে চলছে ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
দুই ধাপে চলছে ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে একযোগে সকালে ও বিকেলে দুই ধাপে পরিচালিত মশক নিধন কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করছে মনিটরিং টিম।  

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি তদারকি টিম ও ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি তদারকি টিম ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে প্রথম ধাপে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিচালিত লার্ভিসাইডিং এবং দ্বিতীয় ধাপে বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে।

 

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই তদারকি কার্যক্রম টানা দুই সপ্তাহ পরিচালনা করা হবে। ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হতে নাগরিকদের রক্ষাকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল বিনষ্টকরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম, তারিকুল আলম এবং যুগ্মসচিব আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানের নেতৃত্বে তিনটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে দুইজন করে কর্মকর্তা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাইলজুড়ী, বাউনিয়া, দলিপাড়া, আহালিয়া, পাকুড়িয়া, বাদালদি, চান্দুরা, তাফলিয়া, মান্দুরা, নলভোগ, নয়ানগর, শুক্রভাঙ্গা, ধরাঙ্গারট এলাকায় চলমান মশক নিধন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান। এসময় তিনি জনগণের মাঝে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।  

ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর সেকশন-৬, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ এলাকায় সকালে ও বিকেলে পরিচালিত লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম. তারিকুল আলম।

ডিএনসিসির অঞ্চল-১০ এর আওতাধীন ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সাতারকুল, টেকপাড়া বাড্ডা, সোনা কাটরা, সেকান্দারবাগ, মধ্যবাড্ডা, মোল্লাপাড়া, বেপারীপাড়া, পোস্ট অফিস রোড ও লৌহেরটেক, মধ্যপাড়া, মোল্লাপাড়া, মোল্লাপাড়া আদর্শ নগর, উত্তরবাড্ডা পূর্বপাড়া, উত্তরবাড্ডা ময়নারটেক, বাওয়ালীপাড়া, উত্তরবাড্ডা পূর্বপাড়া (আব্দুল্লাহবাগ), উত্তরবাড্ডা মিছরী টোলা এলাকায় সকালে ও বিকেলে পরিচালিত লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।  

এছাড়া ডিএনসিসির অন্যান্য সব অঞ্চলে ডিএনসিসির সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা সরেজমিনে মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করেন। মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন কর্মকর্তারা। পাশাপাশি মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করা হয় বলে জানান ডিএনসিসি জনসংযোগ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।