ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৮ সালের মধ্যে ১৩৫টি কূপ খনন করা হবে: উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৮ সালের মধ্যে ১৩৫টি কূপ খনন করা হবে: উপদেষ্টা

ঢাকা: গ্যাস অনুসন্ধানে ২০২৮ সালের মধ্যে দুই ধাপে ১৩৫টি কূপ খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান‌।

তিনি জানান, এর বড় একটি অংশ খনন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স), বাকিটা হবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে গ্যাস অনুসন্ধান সংক্রান্ত এক সভা শেষে তিনি একথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, এখন গ্যাস নিয়ে একটা বিরাট সংকট আছে। বাসা বাড়িতে গ্যাস নেই, শিল্প কারখানায় গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য, সার উৎপাদনের জন্য গ্যাস নেই। এই অনুসন্ধান সফল হলে আশা করি এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। এলএনজি আমদানির বিরাট খরচ থেকে আমরা বাঁচতে পারব।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ও অফশোরে (সমুদ্রের মধ্যে) গ্যাস অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে জোরদার করব। ‌ এটাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করেছি। সমুদ্রের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধানে টেন্ডার হয়ে গেছে, সম্প্রতি সেটার সময় বাড়ানো হয়েছে। এই সময় ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। এতে ৭টি কোম্পানি ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকে দেশের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধানের যে অবস্থা, সেটা পর্যালোচনা করেছি। এটাকে আমরা দুই ভাগ করেছি- ২০২৫ সাল পর্যন্ত, আর এক ভাগে রয়েছে ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত। ২০২৫ সালের মধ্যে অনুসন্ধানের আমাদের যে পরিকল্পনা, সেখানে ১৫টি খনন করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৭৬ এমএমসিএফ জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হয়েছি। ‌ বাকিটা আমাদের পাইপলাইন না থাকার কারণে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫টি কূপ খনন করা হবে জানিয়ে‌ ফাওজুল কবির খান‌ বলেন, এরমধ্যে অনেকগুলো একেবারেই নতুন, এরমধ্যে কিছু উন্নয়ন কূপ, বাকিগুলো যে কূপগুলো রয়েছে সেখানে আরও একটু গ্যাসের পরিমাণ বাড়ানো যায় কিনা সেজন্য ওয়ার্কওভার করা।

উপদেষ্টা বলেন, বলা হয়ে থাকে আমরা বাপেক্সকে ব্যবহার করি না। ৩৫টির মধ্যে ১২টি কূপ বাপেক্স খনন করবে। বাকি ২৩টার অনুসন্ধান হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতেও আমরা আর করব না। আমরা দেখেছি এ পদ্ধতিতে যেগুলো হয়েছে সেখানে এদেশের মানুষ ভ্যালু ফর মানি পায়নি।

২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এ সময়ে আমরা ১০০টি কূপ খনন করব। ‌ সেখানেও নতুন, উন্নয়ন এবং ওয়ার্কওভার থাকবে। এর মধ্যে ৪৩টা বাপেক্সটা খনন করবে। আমরা এবার বাপেক্সকে সর্বশক্তি দিয়ে নিয়োগ করব। বাপেক্সকে সুযোগটা দেব, দেখবো কী হয়। বাপেক্সের পাঁচটা রিগ (গ্যাস অনুসন্ধান যন্ত্র) রয়েছে, তারা আরও একটি রিগ ভাড়া করতে পারবে। ২৬টি কূপ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করবো। এছাড়া ৩১টি ওয়ার্ককভারের সবগুলো বাপেক্সের রিগ দিয়ে অনুসন্ধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।