ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় ঘের কেটে মাছ বের করে দেওয়ার অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৪
পাবনায় ঘের কেটে মাছ বের করে দেওয়ার অভিযোগ 

পাবনা: জমি কিনতে ব্যর্থ হয়ে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছায় দ্বিতীয়বারের মতো ঘেরের বাঁধ কেটে মাছ বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সানাউল্লাহ খাঁ নামে এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগীর বেশ কয়েক লাখ টাকার মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সাতদিনেও কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের আতাল্লাপুর জলাশয়ের ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

অভিযুক্ত সানাউল্লাহ খাঁ আতাল্লাপুর এলাকার সিফাজ খাঁর ছেলে এবং চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলামের অভিযোগ- গত ২৮ বছর ধরে ওই এলাকায় আমার বাবার কেনা আড়াই একর জমিতে মাছের খামার করে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্তু সানাউল্লাহ খাঁ সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে প্রচুর অর্থসম্পদ অর্জন করেন এবং আমাদের জমি কেনার জন্য প্রস্তাব করেন। তাতে আমরা রাজি হইনি। এজন্য গত বছর জমি দখল করতে আমাদের মাছের ঘের কেটে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার ভারাটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আবারও আমাদের মাছের ঘের কেটে মাছ বের করে দিয়েছেন। এতে বেশ কয়েক লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।

তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে সানাউল্লাহ খাঁ বলেন, এটা একটা রতনাই নদী। গ্রামের সব মানুষজন ভেকু দিয়ে কাটছে। বিষয়টি নিয়ে আশপাশের গ্রামের মানুষগুলো ভালো বলতে পারবে। আমি যেহেতু সরকারি চাকরি করি এইজন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তার একটু সুবিধা হয় এই জন্য করেছে। এর আগে এ বিষয়ে পুলিশ নাকোচ করলে তারা আমার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছে আমি কোর্টে জবাব দেব।

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি মিটিংয়ে আসনে বলে কল কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২৪
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।