বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জের পাঁচ সন্তানের জননী বিধবাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. রকিবুল ইসলাম এ রায় দেন বলে বেঞ্চ সহকারী কাজী মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- বাবুগঞ্জের ভুতেরদিয়া গ্রামের নরেন চন্দ্র শীলের ছেলে শয়ন চন্দ্র শীল (২১) ও একই গ্রামের মো. আতাহার ফকিরের ছেলে চা দোকানি সুমন ফকির (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় তারা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি ভুতেরদিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে কিছু দুরে সন্ধ্যা নদী থেকে পাঁচ সন্তানের জননী মরিয়ম বেগমের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মেজ ছেলে ইমরান হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক অলিউল ইসলাম ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
বিচারক ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক অলিউল ইসলাম বলেন, শয়ন চন্দ্র শীল ও সুমন ফকির গ্রামের ছিঁচকে চুরিসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করতেন। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মরিয়ম বেগমের এক সন্তানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাদে মরিয়মের বাসায় যাতায়াত ছিল সুমনের। ঘটনার রাতে ছোট ছেলেকে মেয়ের কাছে পাঠান মরিয়ম। এ বিষয়টি দেখেন চায়ের দোকানি সুমন। পরে তিনি শয়নকে ডেকে এনে ওই নারীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতেই তার ঘরে যান তারা। এ সময় ওই নারী দরজা না খুললে বেড়া ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন শয়ন ও সুমন। ওই নারী বিষয়টি সবাইকে জানানোর কথা বললে লাঠি ও বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে নদীতে মরদেহ ফেলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
এমএস/আরআইএস