ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে ডিসি-এসপিকে সাদপন্থিদের স্মারকলিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
নারায়ণগঞ্জে ডিসি-এসপিকে সাদপন্থিদের স্মারকলিপি

নারায়ণগঞ্জ: তাবলীগ জামাতের একাংশের আমির মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমায় আসতে দেওয়া ও সাদপন্থিদের নির্বিঘ্নে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়ার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ও জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মার্কাজের তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা আবু তাহেরের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।

এ সময় মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশে আসতে দেওয়া ও নারায়ণগঞ্জের মসজিদগুলোতে সাদপন্থিদের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ। আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দীন বাংলাওয়ালী মসজিদ হতে হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.), রসুলুল্লাহ (সা.) ও ছাহাবা (রা.) এর তরিকার অনুসরণ, অনুকরণ- এ মেহনত শুরু করেন। বর্তমানেও উক্ত নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজ মসজিদ হতে বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী (দা. বা.) এর মাধ্যমে এটি সমগ্র বিশ্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং ক্রমাগত প্রচার প্রসার লাভ করছে। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজকে যারা অনুসরণ করছেন তারাই মূলত তাবলিগওয়ালা।

তারা আরও জানান, দাওয়াত ও তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী সম্পর্কে দেওবন্দ মাদরাসাকে উদ্ধৃত করে তথাকথিত মাওলানা জুবায়ের পন্থিরা এবং তাদের প্ররোচনায় কিছু আলেম মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। প্রকৃত বিষয় হলো ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার কিছু ব্যক্তির সঙ্গে উনার মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে দেওবন্দ মাদরাসার সর্বোচ্চ কর্ণধার বিশ্ব বরেণ্য আলেম হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানী (দা. বা.) গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন উনার বক্তব্যের অডিও রেকর্ড আমাদের সংরক্ষণে আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেওবন্দ মাদরাসা কখনোই হযরত মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে বাধা দেওয়া বা উনাকে যারা আমির মানেন তাদের মসজিদে আমল বন্ধ করা বা বাধা দেওয়ার কথা বলেননি। বরং দেওবন্দ মাদরাসার ৬৯৫১৮ নং ফতোয়া হলো- (নিজামুদ্দীন মার্কাজওয়ালাদের যারা গোমরাহ বলবে সে নিজেই গোমরাহ)। এছাড়া দেওবন্দ মাদরাসার ৬৯১৫৮, ১৫৬১৩১, ১৬৫৩৯৫, ১৫২৬৮৭ নং ফতোয়াসমূহে (নিজামুদ্দীন মার্কাজের অনুসারীদের মসজিদে আমল করতে বাধা দেওয়াসহ তাদের ব্যাপারে আপত্তিকর কথা বলার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে)। দেওবন্দ মাদরাসার ওয়েবসাইটে ফতুয়াসমূহ রয়েছে। অপর বিশ্ব বরেণ্য আলেম পাকিস্তানের হযরত মাওলানা মুফতি ত্বকী উসমানী (দা. বা.) অক্টোবর মাসে সৌদি-আরবে অবস্থানকালে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তাবলিগের উভয় পক্ষই হক। তাহলে আসল তাবলিগওয়ালাদের মসজিদে আমল বন্ধ করার জন্য যারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা ইসলাম দরদি নয় বরং সন্ত্রাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।