বরিশাল: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে নিখোঁজ স্পিডবোটের তিন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে।
তবে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশাল সদর নৌ থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, মামলায় নামধারী দুইজন ও অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। নামধারীদের মধ্যে স্পিডবোট চালক আল-আমিন ও বাল্কহেড চালক আটক শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার কোরালতলী এলাকার বাসিন্দা খালেক মাঝি রয়েছেন।
নিখোঁজ তিনজন হলেন-ভোলার উত্তর চর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোট চালক মো. আল আমিন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলির ছেলে রাসেল আমিন (২৫) ও বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০)।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল আহত হয়। প্রাথমিকভাবে চারজন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
তবে শুক্রবার বিকেলে বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই ওমর ফারুক জানিয়েছেন নিখোঁজ তিনজনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে সন্ধ্যার আগে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কারো সন্ধান পায়নি। তবে ডুবে যাওয়া স্পিডবোট উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে নিখোঁজ কাউকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
এমএস/আরএ