ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১৩ গুণীজনকে সম্মাননা দিল ধানমন্ডি সোসাইটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
১৩ গুণীজনকে সম্মাননা দিল ধানমন্ডি সোসাইটি

ঢাকা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ধানমন্ডি সোসাইটি। ‌‘উচ্ছ্বাসে তারুণ্যে বিজয়’ স্লোগানে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ১৩ জন গুণী ব্যক্তিকে সম্মাননাও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৪ নম্বর মাঠে আয়োজিত মেলার দ্বিতীয় দিনে গুণী ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারের হাতে সম্মাননা তুলে দেন ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা।

বিভিন্ন খাতে অবদান রাখার জন্য সাতজনকে মরণোত্তর সম্মাননা ও ছয়জনকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রয়াত অভিনেতা সৈয়দ আহসান আলী, প্রয়াত চিত্রশিল্পী শফিউদ্দিন, প্রয়াত চিকিৎসক অধ্যাপক এম আর খান, প্রয়াত শিক্ষাবিদ খালেদা হাবীব, প্রয়াত চিকিৎসক অধ্যাপক ফারুক আনোয়ারুল আজীম, প্রয়াত ক্রীড়াবিদ সামিউর রহমান সামি, প্রয়াত ক্রীড়াবিদ ড. মোহাম্মদ এছহাককে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়। তাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্য ও প্রতিনিধিরা সম্মাননা গ্রহণ করেন। এছাড়া সংগীতজ্ঞ ও বক্তা মোহাম্মদ আসাফউদ্দোলা, অর্থনীতিবিদ ড. হোসনে জিল্লুর রহমান, সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, চিকিৎসক অধ্যাপক মামুনার রশীদ, সাহিত্যিক বেগম গুলবাহার ও ক্রীড়াবিদ তানজিম হাসান সাদকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া ছাড়াও ধানমন্ডি সোসাইটি ওই এলাকাকে বসবাসযোগ্য করতে যারা অবদান রেখেছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- একজন বৃক্ষপ্রেমী, ছায়ানট, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, গণপূর্ত উপ-বিভাগ ধানমন্ডি, ধানমন্ডি থানা, ধানমন্ডি ট্রাফিক বিভাগ, সেনাবাহিনী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন, সিটি করপোরেশন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

এছাড়া জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ সেবায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কাজ করা শিক্ষার্থীদেরও সনদ দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি মেলার স্পন্সরদেরও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রংপুর রাইডার্স, এসিই প্রোপার্টিস।

আয়োজকরা জানান, দুই দিনব্যাপী এ মেলার প্রথম দিনে চিত্রকলা প্রদর্শনী, চিত্র কর্মশালা, ছাপচিত্র মেলা, প্রামাণ্যচিত্র, দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য, ম্যাজিক শো ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। মেলার দ্বিতীয় দিনে গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া ছাড়াও ছিল চিত্রকলা প্রদর্শনী, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বায়োস্কোপ, সাপের খেলা, বানর খেলা, লাটিম খেলা, মার্বেল খেলা, ভাগ্য গণনা, চিত্র কর্মশালা, পথ নাটক, প্রামাণ্যচিত্র, ম্যাজিক শো, ব্যান্ড শো, আতশবাজি শো ও র‌্যাফেল ড্র।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।