ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের টানে মাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার তরুণী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
প্রেমের টানে মাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার তরুণী বিমান বন্দরে প্রেমিকাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন প্রেমিক আনিছ

নাটোর: প্রেমের টানে বাংলাদেশি প্রেমিকের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরে এসেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী। সঙ্গে এসেছেন তার মা-ও।

ওই তরুণীর নাম সিটি হাসনা (৩২)। মালয়েশিয়ার একটি শহরের মশিন জাকরির মেয়ে তিনি। তার প্রেমিকের নাম আনিছ রহমান। গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে তিনি।  

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে আসেন মালয়েশিয়ান তরুণী সিটি হাসনা। এরআগে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে হাসনা ও তার মাকেকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান আনিছ ও তার পরিবারের লোকজন।

সেখান থেকে তাকে তাদের গ্রামের খুবজিপুর গ্রামে আসেন। তারা বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। আজ রোববার (০৫ জানুয়ারি) নাটোর আদালতে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে মালয়েশিয়ার তরুণী আসার খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আনিছের বাড়িতে ওই তরুণীকে দেখতে প্রতিবেশিসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।  

মালয়েশিয়ার তরুণী সিটি হাসনা ও তার মা

শনিবার রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্যে নাটোরে এসেছেন, তা যেন সফল হয়। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যান আনিছ রহমান। সেখানে সিটি হাসনার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। কিন্তু প্রেমের টানে মাঝেমধ্যে আনিছ মালয়েশিয়ায় ঠিকই যেতেন। এভাবে তাদের মধ্যে সর্ম্পক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ভালোবাসার পরিণতি দিতে বাংলাদেশেআনিছের বাড়িতে চলে হাসনা।  

আনিছের ছোট ভাই মো. হক সাহেব জানান, পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। তার ভাই ওই প্রেমের সর্ম্পকের জন্য এতো বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন, কোনো বিয়ে করেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও তিনি বিয়ে করেননি। বরং ভিনদেশি মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই পারিবারিক সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ১৪ বছর পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক আনন্দিত। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন, এটা অনেকটাই গৌরবের এবং আনন্দের। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন সুখে থাকেন।

আনিছ রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক আমাদের। পারিবারিকভাবে দুজনের ইচ্ছায় বিয়ে হচ্ছে। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমরা সকলের দোয়া চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।