ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কার করা বেইলি ব্রিজ ফের ঝুঁকিপূর্ণ

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
সংস্কার করা বেইলি ব্রিজ ফের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সংস্কার করা বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আবারও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ বেইলি ব্রিজের পাটাতনগুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ছোট-বড় গর্তের কারণে শিক্ষার্থী, লোকজনসহ যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।



জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের ওপর অন্তত ৩৫ বছর আগে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে বেইলি ব্রিজটি নির্মিত হয়।   

তবে ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে মরিচার কারণে ছোট-বড় গর্ত হওয়ায় ওই গর্তে পড়ে স্কুলের শিক্ষার্থী, গৈলা বাজারের ব্যবসায়ী, পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। সেতুটি দিয়ে সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৈলা আদর্শ শিশু নিকেতন, গৈলা শিশু শিক্ষা বিদ্যালয়, গৈলা দাখিল মাদরাসা ও গৈলা বাজারে যাতায়াতকারীসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা চলাচল করেন। চলাচলের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।  

স্থানীয় সৈয়দ ইমরান হোসেন জানান, সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তার ওপর দিয়েই চলছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। আর সেতুতে রাতের আঁধারে কোনো আলোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও লোকজন ভাঙা অংশে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

গৈলা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ যাতায়াত করেন। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা সত্ত্বেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল হক জানান, সেতুটি সংস্কার করা না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কীভাবে এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে। প্রায় দিনই এ সেতুর ওপর চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারী গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।  

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, সেতুটি সংস্কারের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।