ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় সীমান্ত হাটের উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫
বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় সীমান্ত হাটের উদ্বোধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়ার মোকামিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত তৃতীয় সীমান্ত হাট।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মোকামিয়া গ্রামের শুয়াশাহ ফকির মাজার এলাকায় এ হাটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি ও ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা রামন।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন- এই বর্ডার হাটের মাধ্যমে উভয়দেশের মানুষের বন্ধুত্ব এবং আন্তরিকতা আরো বৃদ্ধি পাবে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিল। সে ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।

বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১৯৭১ সালের সহযোগিতার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, মুজিব-ইন্দ্রিরা সীমান্ত চুক্তি আমরা পার্লামেন্টে পাস করেছি, কিন্তু ভারত এখনো সেই চুক্তি পার্লামেন্টে পাস করেনি।

ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তোফায়েল আহমেদ মুজিব-ইন্দ্রিরা চুক্তি পার্লামেন্টে পাস ও বাস্তবায়নের দাবি জানান।

ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রঞ্জনের সভপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, দক্ষিণ ত্রিপুরার এমপি জতেন্দ্র চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পংকজ শরণ, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আকতার ও দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলাধিপতি হিমাশুরায়।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাহানারা বেগম সুরমা, ফেনী জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির খন্দকার, ফেনী জেলা আ’লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম প্রমুখ।  

২০১৩ সালের ১২ জুন ছাগলনাইয়ার মোকামিয়া গ্রামের শুয়াশাহ ফকির মাজার এলাকায় বাংলাদেশ ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সীমান্ত হাটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। সীমান্ত হাটটি পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ শেষে ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ছাগলনাইয়ায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে হাট চালুর বিষয়ে বৈঠক হয়।

এ সীমান্ত হাটে উভয়দেশের ২৫টি করে ৫০টি দোকানে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ একশ ডলার পর্যন্ত কেনা-কাটা করতে পারবে। সপ্তাহে একদিন বসবে এই হাট। দুপুর ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলবে বেচা-কেনা। সীমান্তের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের মাঝে দোকানগুলোর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।