ঝালকাঠি: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ঝালকাঠির আদালতে অত্মসমর্পণের পর দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক আরিফুজ্জামান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধায্য করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী আক্কাস সিকদার ও মানিক আচার্য্য।
একই সঙ্গে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সম্পাদক এম আলম খান কামাল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর দায়ে করা মামলার ঝালকাঠির অ্যাডভোকেট বনি আমিন বাকলাই বাদী হয়ে প্রথম আলোর সম্পদক মতিউর রহমান ও ফটো সাংবাদিক মজিদ খানের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। কিন্তু তিনটি ধার্য তারিখেও তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় বুধবার (২১ জানুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
তিনি আরও জানান, ২০০৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর আলপিনে মহানবীকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টন প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১১ মার্চ বর্তমান সরকারকে আল্লাহের সঙ্গে তুলনা করা এবং গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের ছবিতে ফটোশপের মাধ্যমে সিঁদুর পড়িয়ে প্রকাশ করে।
এ অভিযোগে ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর এ মামলাটি দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ৩য় দফায় তারা হাজির না হওয়ায় আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেন। আদালত ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রাখেন।
দণ্ডবিধি ২৯৫ এবং ২৯৮ ধারায় দায়ের হওয়া এ মোকদ্দমার অভিযোগ প্রমাণ হলে সবোর্চ্চ ২ বছর সাজার বিধান রয়েছে। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত বছরের ৯ অক্টোবর বনি আমিন নামের ঝালকাঠির এক আইনজীবী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান মামলাটি মিথ্যা দাবি করে জানান, মামলার তার সঙ্গে মজিদ খান নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং সেখানে তাকে প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পত্রিকার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ওই নামে কোনো ফটো সাংবাদিক প্রথম আলোতে ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫