ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দিনক্ষণ দিয়ে নাশকতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
দিনক্ষণ দিয়ে নাশকতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দিনক্ষণ দিয়ে নাশকতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সাময়িক অভিশাপ চলছে, নিয়ন্ত্রণে সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি।



মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) আয়োজনে সংগঠনটির কার্যালয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা-লন্ডনের মতো স্থানেও সময় লাগে। মাত্র অল্প কয়েকটি জেলায় নাশকতা চলছে। নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।

খালেদা জিয়াকে ‘নাশকতার রাণী’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি হিসেবে দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারবেন না। তার জায়গা হবে কাশিমপুর কারাগারে।

সংলাপ নয়, রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অগণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সংলাপ হয় না। জঙ্গিবাদের সঙ্গে সমঝোতা বা আপোসের কোনো সুযোগ নেই। এটা গণতন্ত্র বনাম সাম্প্রদায়িতকা ও জঙ্গিবাদের সমস্যা।

ইনু বলেন, এই মুহূর্তে নাশকতা-অন্তর্ঘাত বন্ধ করা প্রয়োজন। ড. কামাল হোসেনসহ যারা সরকারকে সংলাপের জন্য বলছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, আগে খালেদা জিয়াকে নাশকতা-অন্তর্ঘাত বন্ধ করতে বলুন।

তিনি বলেন, আগে দেশটাকে বাঁচান, মানুষ বাঁচান। যারা সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলছেন, তাদেরকে বলবো, আগে খালেদা জিয়াকে বলুন, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন অবরোধ চালিয়ে যাবেন। কিন্তু অস্থিরতা কেন? আমরা জানি, তার কোথাও তাগাদা আছে। কারণ, তার মিত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, সাকার যেকোনো দিন ফাঁসি হবে, তার ছেলের বিচারও হবে। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তার মিত্রদের ফাঁসি হবে। এতিমদের অর্থ আত্মসাতের জন্য তার বিরুদ্ধেও রায় হতে পারে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারও চূড়ান্ত পর্যায়ে। যে কারণে তার অস্থিরতা।

সংলাপ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে বেশ কয়েকবার আলোচনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি বর্জন করেছেন। খালেদা জিয়ার আন্দোলনে জনগণের এজেন্ডা নেই। তার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত এজেন্ডা রয়েছে।

গণতন্ত্র দৃঢ় করার জন্য নয়, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য খালেদা জিয়া অবস্থান নিয়েছেন মন্তব্য করে ইনু বলেন, আজ পর্যন্ত তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেননি। নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছেন, কিন্তু কোনো ফর্মুলা দেননি।

স্থায়ী সমাধান চান না-কি এক বছরের জন্য সমাধান চান- প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমরা ৯০ সালে স্থায়ী সমাধান করতে পারিনি। যার ফলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হচ্ছে।

** তথ্য প্রবাহের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম অনলাইন

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।