লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাল্যবিয়ে বন্ধে সহায়তা করায় সায়েদ আফরেদি (১৭) নামে স্থানীয় শিশু ফোরামের সভাপতিকে মারধর করেছে কনেপক্ষ।
সোমবার গভীর রাতে আফরেদি ধরে নিয়ে মারধর করা হয়।
মারধরের শিকার সায়েদ আফরেদি হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা সমশেদ আলী কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী রানীর (১৬) বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার পাটিকাপাড়া এলাকায়।
বিষয়টি জানতে পেরে বেসরকারি সংস্থা শিশু ফোরামের সদস্যরা কনের বাবা নজরুল ইসলামকে এ বিয়ে না দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিয়ের আয়োজন চলমান থাকায় অভিযোগ করলে সোমবার রাতে উপজেলা পুলিশ প্রশাসন কনের বাড়ি গিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়।
মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কনের বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা সায়েদকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বাড়িতে বেঁধে মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা কনে পক্ষের হাত থেকে আফরেদিকে উদ্ধার করে।
শিশু ফোরামের সদস্যদের দাবি- ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্ল্যাহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
চেয়ারম্যানের ভয়ে শিশু ফোরামের সদস্যরা থানায় গিয়ে নির্যাতনের বিচার চাইতেও ভয় পাচ্ছেন উল্লেখ করে ওই ফোরামের সদস্য দোয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র বিজয় বলেন, চেয়ারম্যান নিজেই তাদের হুমকি দিয়েছেন।
কয়েক বছর আগেই হাতীবান্ধার ওই সানিয়াজান ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্ল্যাহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ে ভেঙে দেওয়াটা বেয়াদবি। তাই বেয়াদবদের আটকে রেখে মারধর করা ঠিক হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এর পরে কি হয়েছে, তা জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫