ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পার্বতীপুরে বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

পার্বতীপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
পার্বতীপুরে বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

পার্বতীপুর(দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে হবিবপুর-চিড়াকুটা আদিবাসী পল্লীর সাঁওতালদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তৌহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।



তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহেনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান,  উপজেলার হবিবপুর চিড়াকুটা আদিবাসী পল্লীর সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তৌহিদুল ইসলামকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন-সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুশান্ত সরকার ও পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গির আলম।

২৭ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের হবিবপুর চিড়াকুটা সাঁওতাল পল্লীর মোসেফ টুডু, বার্নাবাস টুডু, হাবিল টুডু, যোশেফ টুডুসহ ২০/২৫টি সাঁওতাল পরিবারের সঙ্গে প্রায় ২০ একর জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী অসুলকোট শালাইপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম গং দের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জহুরুল ইসলাম ও তার ছেলে সোহাগ বিরোধপূর্ণ জমিতে ইরি-বোরো রোপনের জন্য শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দেওয়ার সময় মোসেফ টুডু ও যোশেফ টুডুর নেতৃত্বে একদল সাঁওতাল এসে বাধা দিলে উভয় পক্ষে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন সাঁওতাল তীর ধনুক নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে।

সাঁওতালদের ছোঁড়া তিনটি তীর সোহাগের বুকে, পিঠে ও হাতে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হয়। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা জহুরুল হক গুরুত্বর আহত হয়। তাকে উদ্ধার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ (দিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহতের চাচা মাহমুদুল হক বাদী ২৮ জন আদিবাসি সাঁওতালের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।

এরমধ্যে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সাঁওতালদের পক্ষ থেকে গত চার দিনেও থানায় কেউ মামলা দিতে আসেনি।

এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্প করে ২০ সদস্যের পুলিশের একটি দল সার্বক্ষণিক মোতায়েন রাখা হয়েছে।

বাংলাদশে সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।