ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মন্ত্রীদের কড়া সমালোচনায় সরকার দলীয় এমপি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
মন্ত্রীদের কড়া সমালোচনায় সরকার দলীয় এমপি

সংসদ ভবন থেকে: রেলমন্ত্রীর মধুচন্দ্রিমা শেষ হলেও, রেলের মধু আহরণ হয়নি বলে মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। শুধু রেলমন্ত্রীই নন, ব্যাংকিং খাত, শিক্ষা এবং তথ্যখাত সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি।

  
 
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রীদের সমালোচনায় নামে এই সংসদ সদস্য।

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন ব্যর্থতা তুলে ধরে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, আর্থিক খাতে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা স্থবিরতা বড় চ্যালেঞ্জ। জিডিপি ১৯ শতাংশের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে। প্রবৃদ্ধির হারে বাজেটে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে, তা অর্জন করতে হলে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ অন্তত ২৪ শতাংশ হতে হবে।
 
তাহজীব অর্থমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, বেসিক ব্যাংকের লুটতরাজকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি আমার প্রশ্নে উষ্মা প্রকাশ করেন। আমার ভাগ্য তিনি আমাকে গালমন্দ করেননি।
 
বাণিজ্যমন্ত্রীরও সমালোচনা করে তাহজীব বলেন, গত ৬ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির যে ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়া দুঃসাধ্য। দেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়।
 
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে পূর্বে কথা বলে মন্ত্রীকে খুব চটিয়েছি। কিন্তু একটা প্রতিজ্ঞা করতে চাই, এর পরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে আমি মন্ত্রীর ইস্তফা চাইবো। আমার বিশ্বাস আমি সফলও হবো।
 
কৃষিমন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারে, কীটনাশকে ভেজাল, ফসলে পঁচন এবং ন্যায্যমূল্যের অভাব কৃষকের কাছে শুনি। কাকে বিশ্বাস করবো?
 
এছাড়াও তিস্তার পানি চুক্তি, ঢাকা শহরের চলাচলের অনুপোযোগিতা, ভুয়া ডাক্তারের বেড়ে চলা, মাদকের বিস্তার, বিটিভির ক্রমাগত লোকসান নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেন তাহজীব আলম।
 
তার এ বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ সিনিয়র বেশ কয়েকজন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি।
 
রাষ্ট্রপতির  ভাষণে ব্যথিত হয়েছেন দাবি করে তাহজীব বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণে সরকারের শুধু সফলতা অর্জন ও ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনাই প্রতিভাত হয়েছে। এতে সরকারের ব্যর্থতা, বিফলতা বা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ প্রতিফলিত হয়নি।

বিবেক দ্বারা তাড়তি হয়ে এই ভাষণ প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হলাম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।