ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়াদ বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিল পাস

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
মেয়াদ বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বিল পাস

সংসদ ভবন থেকে: তৃতীয় দফায় আরও চার বছরের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল, ২০১৫’ বিলও পাস হয়।



মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এ বিল দুটি পাশের জন্য উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।   

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ৭ম বৈঠকে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হলো।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ বিধান:
চলতি সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী দিন ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। ২০১০ সালে প্রণীত আইনটির তৃতীয় দফা সংশোধনকল্পে বিলটি আনা হয়। গত ১১ অক্টোবর তামাদি হয়ে যাওয়ায় আইনের ধারাবহিকতা রক্ষায় মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর খসড়াটি বিল আকারে জাতীয় সংসদে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার সংসদে স্থায়ী কমিটির সুপারিশ করা বিলটি পাস করার জন্য সংসদে পেশ করা হয়। এর আগে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম সংসদে কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। জনমত যাইয়ের জন্য বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও বিলের বিভিন্ন দফায় আনা সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে ২০১০ সনের ৫৪ নং আইনের ধারা ১ এর উপধারা (২) এ সংশোধনী এনে ৪ বছরের জায়গায় আট বছর করা হয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে এ বিলে ২ বছরের জন্য আরেক দফা সংশোধনী আনা হয়েছিল।

বিলে আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি এখনো পূরণ হয়নি।  

গবেষণা কাউন্সিল:
গবেষণার মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উৎকর্ষতা আনা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ জ্বালান ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল আইন- ২০১৪’ বিল পাস হয়।

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও, গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। তাই জাতীয় চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে মন্ত্রিসভা গবেষণা কাউন্সিল করতে আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়। এরপর আইনের খসড়াটি বিল আকারে জাতীয় সংসদে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে আইনের বিলটি পাস করা হয়।

বিলে বলা হয়, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হবে। এই কাউন্সিল একটি সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা হবে। কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়।

কাউন্সিল জাতীয় প্রয়েজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদী গবেষণা প্রণয়ন ও পরিচালনা করবে। কাউন্সিলের একটি গভর্নিং বডি থাকবে এবং কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও প্রশাসন বডির ওপর ন্যস্ত থাকবে। কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকবে এবং ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।