যশোর: যশোর- ৫ (মণিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির পুনঃময়নাতদন্ত রিপোর্টে ‘হত্যা না আত্মহত্যা’ তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ও ডা. শামারুখের পুনঃময়নাতদন্ত কমিটির সদস্য হুসাইন সাফায়েত মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, পুনঃময়নাতদন্তে ‘হত্যা’ করার মতো কোনো বিষক্রিয়ার আলামত পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৯ জানুয়ারি ঢাকা মহাখালি ফরেনসিক সাইন্স অ্যান্ড ল্যাবরেটরি থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির পুনঃময়নাতদন্তের ক্যামিক্যাল প্রতিবেদন আসে। এতে উল্লেখ করা হয়, সুমির শরীরের কোথাও বিষ পাওয়া যায়নি। এছাড়া শরীরের অধিকাংশ পচে যাওয়ায় ‘হত্যা না আত্মহত্যা’ বিষয়টি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুমির ময়নাতদন্তের প্রথম প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মামলার তদন্ত করে এটি ‘হত্যা না আত্মহত্যা’ তা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃত সুমির বাবা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম মেয়ে হত্যার অভিযোগ এনে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুমির ময়নাতদন্ত শেষে ১৪ নভেম্বর মৃতদেহ যশোরে এনে কারবালায় দাফন করা হয়। প্রথম ময়নাতদন্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতিবেদনে আত্মহত্যা উল্লেখ করায় ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য নিহত সুমির বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম আদালতে আবেদন করেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ডা. সুমির মৃতদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশে ৪ ডিসেম্বর ডা. সুমির মৃতদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়। এসময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা সুমির শরীরের ও কবরের মাটিসহ কয়েকটি আলামত সংগ্রহ করে ঢাকা মহাখালি ফরেনসিক সাইন্স অ্যান্ড ল্যাবরেটরিতে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫