ঢাকা: সালাউদ্দিন পলাশ। একটি জুতা কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি।
পলাশের বহনকারী বাসটি যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় পৌঁছালেই আগুন দেয় অবরোধ সমর্থকরা।
তাড়াহুড়ো করে বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে লাফিয়ে বাইরে নামার সময় শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। ভেঙে গেছে তার একটি পা-ও।
পায়ের ব্যাথায় সেখান থেকে সরতে পারেননি সালাউদ্দিন পলাশ। ফলে গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। পরে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয় তাকে।
আগ্নিদগ্ধের সঙ্গে চিকিৎসা চলছে ভাঙা পায়েরও। আগুনে পোড়া শরীরের চেয়ে ভাঙা পায়ের যন্ত্রণায় বেশি কাতরাচ্ছেন তিনি।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) ঢামেক বার্ন ইউনিটে পলাশের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আরেফিন ও ৩ বছর বয়সী মেয়ে আরিফার কথা ভাবতেই চোখে জল এসে গেল পলাশের।
পলাশ বলেন, ওই বাসে আগুনে পোড়া অন্য রোগীরা চলে গেলেও তিনি নড়াচড়া করতে পারছেন না।
ভাঙা পায়ের চিকিৎসা শেষ হতে কতদিন লাগবে এ অপেক্ষায় হতাশা প্রকাশ করেন পলাশ।
এভাবে চলতে থাকলে সন্তানের পড়ালেখা ও সংসার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে তার ভাবনার শেষ নেই। তাই ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাকে সব সময় হতাশ থাকতে দেখা যায়।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের প্রফেসর সাজ্জাদ খান জানান, পলাশের মত আরও একজন রোগী আছেন। তবে পলাশের অবস্থা বেশি খারাপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫