ঢাকা: বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নাশকতা রোধে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে যেখানে যাওয়া উচিৎ সেখানেই চলে যাবেন।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশলাইন মাঠে পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ৫ থেকে ২৮ জানুয়ারি মোট ২৪ দিন ধরে তাদের (বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোট) হরতাল-অবরোধ চলছে। তবে মানুষ আন্দোলনকে পাত্তা না দিয়ে মাঠে বেরিয়ে আসছে। মানুষ স্বস্তি আশা করছে। তারা নিরাপত্তা চাচ্ছে।
তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের যতোই দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততোই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতা প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষও সচেতন হয়ে উঠেছে। তারা নাশকতাকারীদের ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিচ্ছে।
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেট্রোল বোমা মেরে এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না। মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে আপনাদের যেখানে যাওয়া উচিৎ সেখানে চলে যাবেন।
আজ (বুধবার, ২৮ জানুয়ারি) এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নাশকতা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে নাশকতাকারীদের আহবান জানাই, এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। কারণ, বন্ধ না করলে নিজেরাই বিপদে পড়ে যাবেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি মার্ডার হলে তার পেছনে কিছু মোটিভ থাকে। যেমন, কে হত্যা করেছে, কে নির্দেশ দিয়েছে ইত্যাদি। পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করার নির্দেশদাতাকে তো আইনের আওতায় আসতে হবে- এটাই স্বাভাবিক।
ইতিমধ্যে তার (খালেদা জিয়া) নামে মামলা হয়েছে এবং হচ্ছে। আইন যেভাবে চলার কথা সেভাবেই চলবে। প্রচলিত আইন বিষয়ে বলার কিছুই নেই বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কামাল।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এবং র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ গোয়েন্দা বাহিনী সিআইডি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫