ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

মেজর জেনারেল রফিকুলের জেরা শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫
মেজর জেনারেল রফিকুলের জেরা শুরু ছবি: (ফাইল ফটো)

ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বহুল আলোচিত সাক্ষী জজ মিয়াকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ১০৫তম সাক্ষী হিসাবে মেজর জেনারেল (অব)রফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।



বুধবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ১০৪তম সাক্ষী জজ মিয়াকে জেরা শেষ করেন। এরপরই মেজর জেনারেল (অব.) রফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিপক্ষে তাকে আংশিক জেরা করা হয়। |

ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ করে আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেন।

রফিকুল তার সাক্ষ্যে বলেন যে, ঘটনার সময় তিনি সেনাবাহিনীর মেলেটারি অপারেশন (এমও) পদে দায়িত্বরত ছিলেন। ২১ আগস্টে যে ৪টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড হওয়া গিয়েছিল তা তৎকালীন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক আসামি রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী তাদের তাড়াতাড়ি ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন ও বোন খোরশেদা আক্তারসহ মামলার ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৫ সালে জজ মিয়াকে আটক করে বহুল আলোচিত ‘জজ মিয়া নাটক’ সাজানো হয়। ২০০৮ সালে তাকে আসামি থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।

পরবর্তীতে এ মামলা অধিকতর তদন্তে গেলে আগের চার্জশিটের ২২ আসামিসহ ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। জজ মিয়া ও তার মা-বোনকে সে সময় এ মামলায় সাক্ষী করা হয়।

এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন কারাগারে আছেন।
 
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।